প্রকাশ: ২ জুলাই, ২০২২ ৪:২১ : অপরাহ্ণ
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরের খামারি ও ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে বিভিন্ন খামারের পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে ভারত থেকে গরু এলে লোকসানে পড়ার শঙ্কায় খামারিরা। এদিকে, গোপালগঞ্জে ২২ মণ ওজনের ‘রাজা বাবু’ নজর কেড়েছে অনেকের। যার দাম হাঁকা হচ্ছে ৯ লাখ টাকা। বিশালদেহী রাজা বাবুকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন অনেকে।
কুমিল্লায় এবছর কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৪৮ হাজার। এর বেশিরভাগই মিটবে স্থানীয় খামারে পালন করা পশু দিয়ে। তবে জেলায় এবছর চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশু বেশি মজুদ রয়েছে বলে জানালেন খামারিরা।
বছরজুড়ে লালন-পালন করা পশু বিক্রি করে ভালো দাম পাবার আশা খামারীদের। তবে ভারত থেকে গরু এলে লোকসানে পড়ার আশংকা করছেন তারা। যদিও প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, অবৈধভাবে গরু আসা ঠেকাতে সবধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় ২২ মণ ওজনের ‘রাজা বাবু’ সবার নজর কেড়েছে। ৫ ফুট উচ্চতা ও ১০ ফুট লম্বা রাজা বাবুকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা।
ফরিদপুরে প্রায় ৫৫ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন খামারীরা। এসব পশু স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটা-তাজাকরণে খামারিদের সহায়তার পাশাপাশি ভারত থেকে গরু আসা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা খামারীদের।