প্রকাশ: ১ জুলাই, ২০২২ ৪:১৬ : অপরাহ্ণ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যারা পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের মানহানি করেছেন, তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে ক্ষতিপূরণও দেয়া উচিত।
গত সোমবার (২৭ জুন) লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু: উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির এক দশকের মাইলফলক’ শীর্ষক উৎসব উদযাপনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু আমাদের নিজস্ব তহবিল ও সম্পদ দিয়ে নির্মিত হয়েছে। এখন এটি আত্মনির্ভরতা ও সমৃদ্ধির পথে জাতির প্রতিনিধিত্ব করছে।
গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাংলাদেশকে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। ১১ লাখ টন থেকে আজ যা ৪৪ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসা-বান্ধব সরকার রপ্তানি আয় ৭ বা ৮ মিলিয়ন ডলার থেকে ৪৮ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশিরা মহামারীর সময় ২৫ বিলিয়ন ডলার প্রেরণ করায় দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম স্বাগত বক্তব্যে পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠানোর অবদানের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র ব্রিটিশ-বাংলাদেশি লুৎফুর রহমান দেশের যোগাযোগ অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য উন্নতি তথা পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে অভিনন্দন জানান।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সদস্য জালাল উদ্দিনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপনের এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন শহর এবং নগর থেকে আসা ৪ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।