প্রকাশ: ৩০ জুন, ২০২২ ১:৪৫ : অপরাহ্ণ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ সৌদি রিয়াল জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এবং ঢাকা কাস্টম হাউস প্রিভেন্টিভ টিম। জব্দকৃত রিয়ালের বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান প্রায় ছয় কোটি টাকা। বুধবার (২৯শে জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসব টাকা উদ্ধারের আগেই গ্রেফতার এড়াতে লাগেজ ফেলে বিমানবন্দর থেকে পালিয়ে যান যাত্রী মামুন খান।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের চেকিং হচ্ছিল। সে সময় ফ্লাইটের প্যাসেঞ্জার’স হোল্ড ব্যাগেজ স্ক্রিনিং রুমের স্ক্যানিং মেশিনে লাগেজটি স্ক্যান করা হলে মুদ্রা সদৃশ বস্তুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। লাগেজটির মালিককে খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি। পরে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থা ও এভিয়েশন সিকিউরিটির উপস্থিতিতে লাগেজটি কাস্টমসে এনে খোলা হয়। লাগেজে থাকা ৩৪টি শার্টের ভেতরের কাগজের বোর্ডের মধ্য কাগুজে মুদ্রাগুলো বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রীকে খুঁজে না পাওয়ায় লাগেজের সাথে থাকা ট্যাগ থেকে এমিরেটস কাউন্টার, ইমিগ্রেশন ও এভিয়েশন সিকিউরিটির সহায়তায় যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।’
বুধবার (২৯শে জুন) রাতে যাত্রী মামুন খান এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (ঊক ৫৮৫) ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার জন্য চেক ইন করেন। এ ঘটনায় লাগেজের মালিক ইমিগ্রেশন কমপ্লিট না করেই এয়ারপোর্ট থেকে প্রস্থান করেন। এ বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে উপ-পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আটককৃত বৈদেশিক মুদ্রা ও লাগেজ ট্যাগের সাথে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত যাত্রীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান। আটককৃত বৈদেশিক মুদ্রা কাস্টমস গুদামে জমা করা হবে। এছাড়াও কাস্টমস অ্যাক্ট ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান কাস্টমস গোয়েন্দার এই কর্মকর্তা।