চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই বিয়ে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বাড়ি ভাঙলেও থেমে থাকেনি আয়োজন

প্রকাশ: ৩০ জুন, ২০২২ ১১:২৭ : পূর্বাহ্ণ

বিয়ের আগের দিন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, গোটা বাড়িতেই উৎসবের আমেজ; এমন সময় বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো বাড়ি। আর মুহূর্তেই সে বাড়ি পরিণত হলো ধ্বংসস্তূপে। পূর্ব জেরুজালেমের এই এক ঘটনাতেই যেন ফুটে উঠেছে দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসী রূপ।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারপরও থেমে থাকেনি বিয়ে। সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই হয় বিয়ের আয়োজন। আর সাজানো গোছানো বাড়ির পরিবর্তে ধ্বংসস্তূপ থেকেই শ্বশুরবাড়ি পাড়ি জমালেন ২২ বছর বয়সী রাবেহা রজবি। ধুমধাম করেই হয় বিয়ের সব আয়োজন।

আর তাতে ইসরায়েলকে যেন দেয়া হলো এই বার্তা— তোমরা যতকিছুই করো, শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত জন্মভূমি ছাড়বো না আমরা। এ ঘটনা পূর্ব জেরুজালেমের। একের পর এক বাড়ি ভেঙে ফেললেও এলাকা ছাড়ছেন না বাসিন্দাদের কেউই।

রাবেহা রজবি বলেন, বিয়ের দিন স্বামীর হাত ধরে আমার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন বাড়ির বদলে ধ্বংসস্তূপ থেকে শ্বশুরবাড়ি যেতে হবে। হয়তো আমার কপালে এটাই ছিল।

শুধু রাবেহার বাড়িই নয়, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ওই এলাকার অনেক বাড়িই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইহুদি বসতি গড়তেই গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের বাড়ি। প্রয়োজনে রাস্তায় থাকবেন, তবুও জন্মভূমি কোনোভাবেই ছাড়তে নারাজ তারা।

কনের ভাই ফারেস আল রজবি বলেন, এই বাড়িতে আমার কত স্মৃতি রয়েছে। তারা ভাবে, আমাদের ঘড়বাড়ি, আসবাবপত্র ভেঙে ফেললেই আমরা এই জায়গা ছেড়ে চলে যাব। তারপর, এখানে ইহুদিরা বসবাস করবে। কিন্তু আমরা তাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সবকিছু ধ্বংস করলেও আমরা জন্মভূমি ছাড়ব না। প্রয়োজন হলে তাবুতে থাকব।

ফিলিস্তিনের আরেক বাসিন্দা বলেন, কী করবো বুঝতে পারছি না। অনেক চেষ্টা করেছি, সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। তারপরও তারা আমার বাড়ি ভেঙে ফেললো। এই এলাকার প্রায় সব বাড়ি ভাঙার আদেশ এসেছে।

তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, অবৈধভাবে এসব বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। তাই নিয়ম মেনেই ভাঙা হয়েছে বাড়িগুলো।

Print Friendly and PDF