চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কত টাকা টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী?

প্রকাশ: ২৫ জুন, ২০২২ ৪:২৩ : অপরাহ্ণ

পদ্মাসেতু উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে খুলে গেল আয়ের খাতা। সেতুতে উঠে প্রথম টোল দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ জুন) সেতুর মাওয়া পয়েন্টে টোল দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সেতুটি উদ্বোধন ঘোষণা করেই গাড়ি নিয়ে সেতুতে চড়েছেন। আর গাড়ির টোল হিসেবে নিজেই ৭৫০ টাকা দিয়েছেন তিনি।

পদ্মা সেতুর টোল আদায়কারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিজের গাড়ি ছাড়াও বহরের সবগুলো গাড়ির টোল দিয়েছেন তিনি। এজন্য তাকে দিতে হয়েছে মোট ১৬ হাজার ৪০০ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে ১৮টি গাড়ি ছিল।

এর আগে, উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়, আমাদের অহংকার। আজকের দিনে কারো প্রতি আমার অভিযোগ নেই, অনুযোগ নেই। তাদের হয়তো আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল। আশা করবো আজকের পর থেকে তারা নতুন করে আত্মবিশ্বাসী হবে।

জনগণকে স্যালুট জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণ করা আমার দায়িত্ব। অপবাদ দিয়ে লাভ নাই দেশের জনগণই আমার সাহসের ঠিকানা, তাই বাংলাদেশের জনগণকে আমি স্যালুট জানাই। যারা সমালোচনা ও ষড়যন্ত্র করেছিলেন তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এটাই আমার আশা। আমি কারো প্রতি অভিযোগ করছি না, অনুযোগও রাখছি না। তাদের হয়তো আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল। আজ থেকে তারাও নতুন করে আত্মবিশ্বাসী হবে এই আশা করছি।

ভাষণে পদ্মাসেতু নির্মাণে প্রয়াত জামিলুর রেজা চৌধুরীসহ যাদের অবদান রয়েছে তাদের সবাইকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ধন্যবাদ জানান পদ্মাসেতুর দুই পারের মানুষকে। বলেন, নির্দ্বিধায় তারা তাদের জমি ছেড়ে দিয়েছিল। তাদের ত্যাগ না থাকলে এই সেতু নির্মাণ কঠিন হয়ে যেতো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি আজ গর্বিত। আমিও আনন্দিত ও গর্বিত। অনেক বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমরা পদ্মাসেতু নির্মাণে সক্ষম হয়েছি। এই সেতু শুধু সেতু নয়। শুধু দুই পারের বন্ধন সৃষ্টি করছে। আমাদের অহংকার, আমাদের সক্ষমতার প্রতীক, আমাদের গর্ব, এই সেতু বাংলাদেশের জনগণের। এর সাথে জড়িত আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃষ্টিশীলতা, আমাদের সহনশীলতা ও আমাদের প্রত্যয়। যদিও ষড়যন্ত্রের কারণে সেতু নির্মাণে আমাদের দুই বছর বিলম্ব হয়েছে। আমরা কখনো হতাশায় ভুগিনি, আত্মপ্রত্যয় নিয়ে চলেছি। শেষ পর্যন্ত সমস্ত অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে যাত্রা করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধু বলেছেন কেউ দাবায় রাখতে পারবা না, কেউ দাবায় রাখতে পারেনি। আমরা মাথা নোয়াবো না, আমরা মাথা নত করি নাই।

Print Friendly and PDF