প্রকাশ: ১৭ জুন, ২০২২ ৩:১৪ : অপরাহ্ণ
শুক্রবার (১৭ জুন) বেলা পৌনে ১২টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে পাঠানে তথ্যে জানানো হয়, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী ১৯ জুন অনুষ্ঠেয় সব শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি জেনারেল, এসএসসি ভোকেশনাল এবং দাখিল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার জেলায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে বন্যাকবলিত জেলা সিলেটে রয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৪৪ জন ও সুনামগঞ্জে রয়েছেন ২৩ হাজার ৭৫২ জন। ৪ জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে ১৪৯টি। এর মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ৯২টি।
পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল রোববার (১৯ জুন)। এরই মাঝে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেট ও সুনামগঞ্জে আবারও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। দুই জেলার পথঘাট, বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে থইথই করছে।
এদিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৯টি উপজেলার পানিতে তলিয়ে গেছে ২৩টি পরীক্ষা কেন্দ্র। পানির নিচে দুই জেলার সাড়ে চারশরও বেশি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা।
এমতাবস্থায় অনেকে দাবি তোলেন যে, এলাকায় যেসব বহুতল স্কুল ভবন আছে সেগুলোকে যেন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বানানো হয়।
তারা জানান, পরীক্ষা তো পরেও নেয়া যাবে। মানুষের জীবন যদি না বাঁচে তাহলে তো আর পরীক্ষা নেই। একটি করে স্কুল ছেড়ে দিলেও অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০ মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে।
এমন পরিস্থিতিতে শুকবার (১৭ জুন) সকালের দিকে আগামী ১৯ জুন থেকে অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
পরীক্ষার্থীরা জানান, তারা বন্যার কারণে পড়াশোনাও করতে পারছেন না। অনেক শিক্ষার্থী ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। বইখাতা নিয়ে সবাই দৌড়াদৌড়ি করছে। এ কারণে তাদের দাবি যেন এসএসসি পরীক্ষা পেছানো হয়।
শুকবার (১৭ জুন) সকালের দিকে পরীক্ষার্থীদের দাবি জানানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই আসে এসএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত।