প্রকাশ: ১৩ জুন, ২০২২ ৪:৫০ : অপরাহ্ণ
কনে যখন ডাকাতরানি! বিয়ের ১২ দিন পরই লাখ লাখ টাকার গহনা নিয়ে পালিয়েছেন এক গৃহবধূ, সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তার ১২ বছরের ননদকেও। এখন বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের পুষ্কর শহরে। খবর নিউজ এইটিন।
খবরে বলা হয়, গয়না-টাকা খোয়া গেছে ঠিকই, তবে ১২ বছরের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ করেছে। আপাতত বাড়ির মেয়েকে নিয়ে ভয় পাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ মেয়েটির খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
পঞ্চকুণ্ড রোডের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী ইয়াতুরের বিয়ে হয়েছিল মে মাসের ২৭ তারিখ। পাত্রী ছিল ঝাড়খণ্ডের জুম্মা রামগড়ের বাসিন্দা পূজা (২৬)। ইয়াতুরের শ্রবণ ক্ষমতা কম, সঙ্গে কথা বলাতেও সমস্যা রয়েছে। এ কারণে তার বিয়ে হচ্ছিল না।
ইয়াতুর আত্মীয়রা জানিয়েছেন, তাদের এক পরিচিত পঙ্কজ কুমার ইয়াতুর বিয়ে ঠিক করেছিলেন। ইয়াতুর বাবা জানান, প্রায় ৪ মাস ধরে পঙ্কজ তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করেছিল। ইয়াতুর বিয়ে নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথাও তিনি জানতেন। পঙ্কজ একদিন ইয়াতুর বিয়ের প্রস্তাব দেন। তারই পরিচিত ঝাড়খণ্ডের মেয়ে পূজার কথা বলেন তিনি। মেয়ের পরিবারের সদস্যরাও এই বিয়েতে খরচের নামে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে বলে জানান তিনি। ২৭ মে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর প্রায় ১৫ দিন সবকিছু ঠিকঠাক চললেও হঠাৎ করেই শুক্রবার নববধূ পূজা তার শাশুড়িকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। এরপর পূজা সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ১২ বছরের ননদকে ফুসলিয়ে নিজের সঙ্গে নিয়ে গেছে।
শাশুড়ির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে ঘরের দরজা খুলে দেয়। এরপর ঘরে গিয়ে খোঁজ নিলে গয়না পাওয়া যায় না। ইয়াতু একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। শুক্রবার খুব সকালে কাজে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ইয়াতুর ও পরিবারের সদস্যরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। পূজাকে খুঁজতে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।