প্রকাশ: ৯ জুন, ২০২২ ১২:০৬ : অপরাহ্ণ
মাত্র পাঁচ বছরের মেয়েকে দুপুর দুইটার প্রচণ্ড রোদে তার হাত পা বেঁধে ছাদে ফেলে রাখা হয়েছে। বাঁধন খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেও কিছুতেই পেরে উঠছে না। যন্ত্রণায় চিৎকার করলেও তা শোনার জন্য আশপাশে কেউ নেই।
বুধবার (৮ জুন) এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে। ভারতের দিল্লিতে দেখা যায় এমন অমানবিক ঘটনা। ২৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে বাচ্চা মেয়েটির অবস্থা দেখে অনেকেই শিউরে উঠেছেন। কে বা কারা তাকে এ ভাবে বেঁধে রেখেছেন, তা খতিয়ে দেখার জন্য সরব হয়েছেন অনেকেই।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পরেই দিল্লি পুলিশের নজরে আসে ঘটনাটি। প্রথমে দিল্লির কারওয়াল নামে একটি জায়গায় গিয়ে খোঁজখবর নেয় পুলিশ। কারণ ওই এলাকা থেকেই ভিডিওটি পোষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে এই ধরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তারপরে নানা জায়গা থেকে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাটি আসলে খজুরি খাস এলাকায়।
পুলিশ অনুসন্ধানের পর জানতে পারে, হোমওয়ার্ক না করায় বাচ্চাটির মা-ই পাঁচ-সাত মিনিটের জন্য এইভাবে তাকে বেঁধে রেখেছিল। মেয়েকে শাস্তি দিতেই এমন করেছেন তিনি। পুলিশি জেরায় সেই কথাই জানিয়েছেন ওই মহিলা।
ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, ওই শিশুটির পরিচয় জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।
যদিও ওই মহিলার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছেন, তা জানা যায়নি। তবে নেটব্যবহারকারীদের একাংশ দাবি, এই অমানবিক আচরণের জন্য শিশুর মাকেও হাত-পা বেঁধে চড়া রোদে ফেলা রাখা হোক!
এদিকে ভিডিওটি নীতি বহির্ভূত হওয়ায় তা মুছে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।