চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা ফাতিমাকে নিয়ে বিতর্কিত সিনেমা বন্ধ করে দিলো ব্রিটিশ মুসলিমরা

প্রকাশ: ৯ জুন, ২০২২ ১১:৫৭ : পূর্বাহ্ণ

ব্রিটিশ মুসলিমদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে মুসলিমদের হেয় করে এমন একটি সিনেমার প্রদর্শনী বাতিল করেছে যুক্তরাজ্যের একটি সিনেমা কোম্পানি।

ওই সিনেমায় বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মেয়ে মা ফাতিমার জীবনের ঘটনাগুলো বিতর্কিত উপায়ে চিত্রিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বার্মিংহাম, বোল্টন, ব্র্যাডফোর্ড এবং শেফিল্ডের ভেন্যুসমুহের বাইরে ‘লেডি অব হ্যাভেন’ নামের সিনেমাটির বিরুদ্ধে ব্রিটিশ মুসলিম সম্প্রদায়ের বিক্ষোভের পর সিনেওয়ার্ল্ড সিনেমাটির প্রদর্শনী গুটিয়ে নেয়।

এক বিবৃতিতে সিনেমা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, ‘আমরা আমাদের কর্মী এবং গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী চলচ্চিত্রটির আসন্ন প্রদর্শনী বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইরাকে সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস বাহিনীর দৃশ্য দিয়ে সিনেমাটি শুরু করা হয়। এরপর সিনেমাটিতে নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মেয়ে ফাতিমার গল্প চিত্রিত করা হয়।

মা ফাতিমার জীবনে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি কথিত ঘটনা বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিলিয়ে এক তরুণ ইরাকি এতিমের গল্পের সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়।

যদিও সিনেমাটিতে শিয়া মুসলিম বর্ণনায় মা ফাতিমার গল্পকে চিত্রিত করা হলেও, সুন্নি এবং শিয়া উভয়েই এটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে। এমনকি অনেক বিশিষ্ট শিয়া ধর্মীয় আলেমরাও সিনেমাটির সমালোচনা ও নিন্দা করেন।

কট্টর শিয়াপন্থি দেশ ইরানও মুসলিম বিশ্বে বিভক্তি সৃষ্টি করবে এমন অভিযোগ তুলে সিনেমাটি নিষিদ্ধ করেছে। আরও নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ও মিশর।

সিনেমাটি লিখেছেন কুয়েতি শিয়া ধর্মগুরু ইয়াসির আল-হাবিব। যিনি মাহদি সার্ভেন্টস ইউনিয়ন নামে লন্ডনভিত্তিক একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী পরিচালনা করেন।

এই আল-হাবিব নবী (সাঃ)-এর অন্যান্য সাহাবী, তাঁর স্ত্রী আয়েশা যাকে তিনি ‘ঈশ্বরের শত্রু’ বলে অভিহিত করেছেন- এদের বিরুদ্ধে নানা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে বহু বছর ধরে বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মিশরীয় কপ্টিক খ্রিস্টান ও অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত অভিনেতা এলি কিং। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক বিনোদন সংস্থা এনলাইটেনমেন্ট প্রোডাকশন ১৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করে সিনেমাটি নির্মাণ করে।

Print Friendly and PDF