প্রকাশ: ৯ জুন, ২০২২ ১২:০১ : অপরাহ্ণ
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বাড়বাড়ন্তে বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। আর তাতেই টাইগ্রিস নদীর পানি কমে হঠাৎ জেগে উঠতে শুরু করেছে অতি প্রাচীন এক শহর।
ইউরো নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শহরটি প্রায় ৩ হাজার ৪০০ বছরের পুরোনা। তবে এত দিন পানির নিচে ছিল আস্ত শহরটি। ইরাকের উত্তরাঞ্চলে টাইগ্রিস নদীতে ডুবে ছিল প্রাচীন এ শহর।
ইরাক জুড়ে প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতার নানা নিদর্শন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ওই নদীতে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে শহরটির বিভিন্ন স্থাপনা ধীরে ধীরে ভেসে উঠছে।
এটি প্রাচীন মিত্তানি সাম্রাজ্যের সময়কার একটি শহর বলে জানিয়েছেন জার্মান ও কুর্দিশ প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। শহরটিতে একটি প্রাসাদ রয়েছে। আরও রয়েছে কয়েকটি বড় আকারের ভবন। ধারণা করা হচ্ছে, খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৫০ থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত এই শহরে মানুষের বসবাস ছিল।
১৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে প্রাচীন এ শহরটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। পরে ধীরে ধীরে আস্ত শহরটি টাইগ্রিসে তলিয়ে যায়। এখন আবারও প্রাকৃতিক দুর্যোগের (খরা) কারণে তলিয়ে যাওয়া শহরটি জেগে উঠতে শুরু করেছে।
জার্মানির তুবিনজেন ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদেরা ইরাকের এই প্রাচীন শহরের খননকাজ চালাচ্ছেন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি ইরাক। দেশটির মসুল অঞ্চলে কয়েক মাস ধরে উষ্ণ আবহাওয়া ও বাড়তি তাপমাত্রা বজায় রয়েছে।
মসুল বাঁধের পানিও দ্রুত কমছে। এর জের ধরে টাইগ্রিস নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় মসুল–সংলগ্ন স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের কিমুনেতে অবস্থিত ব্রোঞ্জ যুগের প্রাচীন এই শহরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
কুর্দিস্তান আর্কিওলজি অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ কাসিম, জার্মানির ফ্রেইবুর্গ ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদ ইভানা পুলজিজি ও জার্মানির তুবিনজেল ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদ পিটার পিফেলজনার ইরাকে ভেসে ওঠা প্রাচীন এই শহর নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন।