চট্টগ্রাম, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মমতাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, রোদ্দূর রায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ৭ জুন, ২০২২ ৫:২১ : অপরাহ্ণ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণের অভিযোগে প্রদেশের আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার রোদ্দূর রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফেসবুক লাইভের পর কয়েকটি থানায়  রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এই অভিযোগের পর মঙ্গলবার গোয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, রোদ্দূর রায়ের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ বলছে, গোয়ায় রিমান্ডে নেওয়া হবে রোদ্দূর রায়কে। তারপর সেখান থেকে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে।

 

পশ্চিমবঙ্গের সংগীত শিল্পী রূপঙ্কর এবং সদ্যপ্রয়াত কেকে-কে নিয়ে রোদ্দূর রায় সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ করেন। সেখানে তিনি রূপঙ্করের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। কটূক্তি করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন সম্পর্কেও। ওই ফেসবুক লাইভের বক্তব্য নিয়েই তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় গত শনিবার।

ফেসবুকে রোদ্দূরের গ্রেফতারের খবর প্রথম জানান পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র পরিচালক কৌশিক মুখোপাধ্যায় ওরফে কিউ। পরে কলকাতা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা রোদ্দূর রায়কে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গত শনিবার রোদ্দূর রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, তিনি অনলাইনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিকর মন্তব্য’ করেছেন। নিজেকে তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিৎপুর থানায় রোদ্দূরের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করেন ঋজু দত্ত। তিনি রোদ্দূরের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

অভিযোগ প্রসঙ্গে শনিবার বিকেলে রোদ্দূরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার। তিনি বলেন, এফআইআর দায়ের হয়েছে সেটা শুনেছি। এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। তখন থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অনলাইনে নীরব ছিলেন রোদ্দূর। তবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি ফেসবুকে একটি লাইভ করেন। ৩৭ মিনিটের সেই লাইভে তিনি বলেন, দু’বছর আগে তিনি একটি ‘কেস’ খেয়েছিলেন। সেই লাইভে তিনি মমতার লেখা কবিতা নিয়েও বক্রোক্তি করেছেন।

তারও আগে রোদ্দূর একের পর এক ফেসবুক স্টেটাস দিয়েছেন। যেখানে লেখা, ‘কেস দাও মোরে কেস দাও আরও, বন্ধ রাখিও কারাগারে’, ‘পুলিশও হাসিছে মোক্সা ক্যাওড়া দেখিছে থানায় বসি, গাঁজার গোলাপ বানায়েছে তারা ফেলিয়া কড়া ও রশি’।

Print Friendly and PDF