প্রকাশ: ৭ জুন, ২০২২ ২:৪১ : অপরাহ্ণ
২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে সবশেষ ব্রাজিলের কাছে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর থেকে আর হারের মুখ দেখেনি আলবিসেলেস্তেরা। মাঝে ব্রাজিলের সঙ্গে দেখা হয়েছে ৩ বার। যেখানে ২টিতেই জয় মেসিবাহিনীর। আর একটিতে ড্র। জয়ী ৩টি ম্যাচের একটি আবার ২০২১ কোপা আমেরিকার ফাইনালে। নেইমারের ব্রাজিলকে হারিয়ে ১৫তম কোপা আমেরিকা শিরোপা ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা। এতে করে প্রায় ২৮ বছর ধরে শিরোপা খরাও কাটায় লিওনেল স্কালোনির শীষ্যরা। আর্জেন্টিনা তাদের ৩৩টি ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছে ২২টিতে ড্র করেছে ১১টি ম্যাচে।
আর্জেন্টিনার চেয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি ইউরোপের দেশ ইতালির। যাদের কিনা সম্প্রতি লা ফিনালিসিমার ফাইনালে হারিয়ে ২৯ বছর পর শিরোপা ঘরে তোলে। ইতালি অপরাজিত রয়েছে ৩৭ ম্যাচে। যা এখনো রেকর্ড। এরপরেই রয়েছে যথাক্রমে ল্যাতিন আমেরিকার আরেক দেশ ব্রাজিল ও ২০১০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন। তাদের অপরাজিত থাকা ম্যাচের সংখ্যা ৩৫টি। অর্থাৎ আর্জেন্টিনা আর ৩টি ম্যাচে না হারলে ব্রাজিল ও স্পেনকে এবং আর ৫টি ম্যাচে না হারলে ইতালিকে পেছনে ফেলে বিশ্বরেকর্ড নিজেদের করে নেবে।
সামনে আর্জেন্টিনার এখন পর্যন্ত আর কোনও প্রীতি ম্যাচ নেই। এ সময়ের মধ্যে যদি আর্জেন্টিনা আর কোন প্রীতি ম্যাচ না খেলে তাহলে তাদের পরের ম্যাচটি হবে কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। যেখানে মেসিদের প্রতিপক্ষ সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। এখানের তিন ম্যাচে না হারলে তাদের অপরাজিত থাকা ম্যাচের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৩৬টিতে। এতে করে আর্জেন্টিনা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও স্পেনকে টপকে যাবে।
আর্জেন্টিনা তাদের সবশেষে ম্যাচ খেলে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে। যে ম্যাচের মূল একাদশে স্কালোনি লা ফিনালিসিমার ফাইনাল ম্যাচের ৮জনকে বিশ্রামে রেখেছিলেন। এস্তোনিয়ার বিপক্ষে মূল একাদশে বড় নাম ছিলেন শুধুই লিওনেল মেসি। আর সেই মেসি একাই ধসিয়ে দেন এস্তোনিয়াকে। ম্যাচে একাই করেন পাঁচ গোল, আর্জেন্টিনা ম্যাচটিতে জয় পায় ৫-০ গোলে।
স্পেনের আল সাদর স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে এস্তোনিয়ার উপর আধিপত্য বিস্তার করে আর্জেন্টিনা। বলতে গেলে পুরো এস্তোনিয়া লিওনেল মেসিকে আটকাতেই ব্যস্ত ছিল। কিন্তু সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে পারেনি আটকাতে। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে পেনাল্টি থেকে মেসির গোলের শুরু। প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগে করেন দ্বিতীয় গোল। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার দুই মিনিটের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অষ্টম হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মেসি। এরপর এস্তোনিয়ার রক্ষণকে নাচিয়ে ৭১ ও ৭৬ মিনিটে আরও দুই গোল করে নিজের ও দলের পঞ্চম গোল পূর্ণ করেন মেসি।