প্রকাশ: ৬ জুন, ২০২২ ৩:৪১ : অপরাহ্ণ
সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। চট্টগ্রাম মেডিকেলের সামনে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হচ্ছে পরিবেশ। ৭ মাসের ছোট্ট ফাইজা এসেছে বাবার খোঁজে।
তার বাবা আব্দুস সোবহান সীতাকুণ্ডের সেই অভিশপ্ত ডিপোতে সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন।
বিস্ফোরণের সময় সেখানেই ছিলেন তিনি। কোথাও খুঁজে না পেয়ে শনাক্তহীন লাশগুলোর একজনই আব্দুস সোবহান হবেন এমন ধারণা স্বজনদের। পুলিশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ বুথে নমুনা দিয়েছ ছোট্ট ফাইজাও।
বাবার খোঁজে মামার কোলে ৭ মাস বয়সী ফুটফুটে শিশু ফাইজা। চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা বাবাকে শনাক্তে তাকেও দিতে হচ্ছে অন্যদের মতো এ বয়সে ডিএনএর নমুনা।
নিখোঁজদের ছবি নিয়ে ভীড় করেছেন অনেক স্বজন। কোথাও না পেয়ে লাশ শনাক্তে ডিএনএ নমুনা দিচ্ছেন তারা।
স্বজনহারা এরইমধ্যে অশনাক্ত লাশগুলো থেকে ডিএনএ নমুনা নেয়া হয়েছে। চুল, চামড়া, রক্ত কিংবা লালার নমুনা দিয়ে ডিএনএ মিলানোর চেষ্টা করবেন তারা। রিপোর্ট দেয়া হবে এক মাস পর।
ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট সিআইডির এডিশনাল এসপি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিষয়টি খুবই জটিল এবং স্পর্শকাতর। এ কারণে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি দেখা হবে। এক মাস পর আমরা রিপোর্ট দিতে পারব বলে আশা রাখি। ’
আহতদের সর্বোচ্চ সেবাদানের চেষ্টা চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এদিকে, কেউ নিখোঁজ থাকলে স্বজনদের দ্রুত ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ বুথে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।