প্রকাশ: ২ জুন, ২০২২ ১১:২৮ : পূর্বাহ্ণ
মাছ-মাংসের চড়া দামে যখন নাভিশ্বাস, তখন মজুতদারদের কারসাজিতে যেনও চাল-ডাল কেনারও উপায় থাকছে না। খোদ খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভরা মৌসুমে হু হু করে চালের দাম বাড়ার নেপথ্যে ছয় বড় করপোরেট কোম্পানির সিন্ডিকেট। এ অবস্থায় দেশজুড়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
উৎপাদন মৌসুমে চালের দাম কমে। কিন্তু এবার ঘটছে উল্টো চিত্র। সপ্তাহ ব্যবধানে শুধু বাড়ছেই দাম। চালের ঊর্ধ্বমুখী বাজারমূল্যের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মিলারদের ওপর দায় চাপাচ্ছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই মিলল মজুতদারির প্রমাণ।
যেখানে ফুড গ্রেডের লাইসেন্সের আওতায় সর্বোচ্চ ৮০ টন মজুতের বিধান রয়েছে, সেখান লাইসেন্স না থাকলেও, এক একটি খুচরা দোকানে দেড়শ’ টন পর্যন্ত চাল পাওয়া গেছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হারুন অর রশিদ বলেন, একটি দোকানে কত টন মজুত করতে পারবে সেটি আমরা দেখছি। দোকানে অবৈধ যদি মজুত থাকে কিংবা কারও যদি লাইসেন্স না থাকে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা করবো।
মজুত ৩০০ মেট্রিকটন করার কথা থাকলেও এর থেকে ব্যবসায়ীরা বেশি মজুত করছেন বলে জানান চট্টগ্রামের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহ।
মজুতদারদের বিরুদ্ধে দুদিন ধরে দেশজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ টিম। করা হচ্ছে মোটা অংকের জরিমানা।
সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মজুতদারিতে জড়িত ৬টি বড় প্রতিষ্ঠান।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কতগুলো গ্রুপ ব্যবসায়ীরা আছে, এই ধরণের ছয়টি প্রতিষ্ঠানের নাম বলেছি। তারপর কিছু অব্যবসায়ীরা, যারা কোন দিন ধান চালে ব্যবসা করেননি, তাদের লাইসেন্সও নেই। তারা ধান বা চাল স্টোক করছে।
অবৈধ এসব মজুতদারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।