প্রকাশ: ২২ মে, ২০২২ ১১:৩৪ : পূর্বাহ্ণ
প্রেমের জন্য এখন আর সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিতে হয় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এখন পছন্দের মানুষকে সহজেই প্রেমের বাঁধনে বেঁধে ফেলা সম্ভব। আর এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে পাক তরুণী ভারতীয় এক সেনাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব নথি। পরে জানা যায়, ওই তরুণী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র এ সদস্য। খবর ইন্ডিয়া টিভি।
ইন্ডিয়া টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, হঠাৎ একদিন যোধপুরের বাসিন্দা প্রদীপের ফোনে কল আসে। কলটি ছিল এক নারীর। এরপরই তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে। হোয়াটসঅ্যাপে ওই নারী জানায় তিনি গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। এছাড়া তিনি বেঙ্গালুরুর এক কর্পোরেট ফার্মে চাকরি করেন। যদিও পুরোটাই ছিল মিথ্যা। আইএসআইয়ের এজেন্ট এভাবেই মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে ভাব জমায় প্রদীপের সঙ্গে। আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে দেন তিনি।
সম্পর্ক এতটাই গভীর হয় যা গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। এরপরই হোয়াটসঅ্যাপে ওই সেনা সদস্য বেশ কিছু জরুরি নথি ওই তরুণীকে পাঠান। এখানেই শেষ নয়। প্রদীপের সাহায্যে ফাঁদে ফেলা হয় আরও কয়েকজন সেনাকে। কাজে লাগানো হয় ওই আইএসআই গুপ্তচরের আরেক বান্ধবীকেও।
পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশের নজরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গত ১৮ মে অবশেষে রাজস্থান পুলিশ আটক করে প্রদীপকে। তাকে লাগাতার জেরা করা হয়। শেষ পর্যন্ত শনিবার (২১ মে) গ্রেপ্তার দেখানো হয় অভিযুক্ত সেনাকে। এর সঙ্গে আর কে কে যুক্ত রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রদীপকে।