প্রকাশ: ২১ মে, ২০২২ ৪:২৬ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশি এক তরুণীকে ভারতের বেঙ্গালুরুতে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় ৯ বাংলাদেশিকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের ৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটির আদালত। শুক্রবার (২০ মে) এই রায় দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর আদালত।
এর আগে গত বছরের ২৭ মে ২২ বয়সী এক বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আর এই ধর্ষণ মামলার ঘটনায় শুক্রবার (২০ মে) আদালতের রায়ে চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাকদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেনসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া তানিয়া খানকে ২০ বছর এবং মোহাম্মদ জামালকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর এ ঘটনায় আরও দুই নারী আসামিকে ৯ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ধর্ষণের এ ঘটনায় ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্তরা বাংলাদেশি নাগরিক। তারা ভারতে প্রবেশ করে অবৈধভাবে বেঙ্গালুরুতে বসবাস করছিলেন।
ধর্ষণের এ ঘটনার মামলায় একজন ভারতীয়কেও আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন দেশটির আদালত। আর এ ঘটনায় ২৮ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল এবং ৩ মাসে বিচারকার্য সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে ধর্ষণের একটি ভিডিও বাংলাদেশে ভাইরাল হওয়ায় ঘটনাটি জানাজানি হয় এবং পরে প্রমাণিত হয় ঘটনাটি ভারতের বেঙ্গালুরুতে হয়েছে। ফলে দেশটির দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারা এবং অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইনের পাশাপাশি ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে মামলা করা হয়েছিল।
ধর্ষণের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বাংলাদেশ ও ভারতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়। তবে এ ঘটনায় অপর ২ বাংলাদেশি নারীকে ফরেনার্স অ্যাক্টের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ৯ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।