চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চোর সন্দেহে গাছে বেঁধে নির্যাতনের পর জানা গেল ছাগল বাড়ি ফিরেছে

প্রকাশ: ১৬ মে, ২০২২ ৪:২৪ : অপরাহ্ণ

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ছাগল চুরির মিথ্যা অপবাদে দুই ভাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের আড়াই মিনিটের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

রোববার (১৫ মে) সকাল ৮টার দিকে লোহাগড়া থানার কোটাকোল ইউনিয়নের মাটিয়ডাঙ্গা গ্রামে ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

নির্যাতিত যুবকেরা হলো, মাঠিয়ডাঙ্গা গ্রামের রশিদ শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০) ও একই গ্রামের রউফ শেখের ছেলে তরিক শেখ (২৩)। তারা পরস্পর চাচাতো ভাই। বর্তমানে তারা লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার (১৪মে) রাতে মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাই মুন্সির একটি ছাগল হারিয়ে যায়। ওই ছাগল চুরির অভিযোগে ফরিদ ও তরিককে রোববার (১৫ মে) সকাল ৮টার দিকে ধরে আনা হয়। পরে নান্নু শেখের দোকানের পাশে দুটি গাছে দুইজনকে আলাদাভাবে দড়ি দিয়ে পিট মোড়া দিয়ে বেঁধে চালানো হয় নির্যাতন।

এ সময় কোটাকোল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু কালাম মুন্সির নেতৃত্বে নান্নু শেখ, আজমল মুন্সি, ইজাজুল মুন্সি ও রমজান মুন্সি সহ ৪/৫ জন তাদের বাঁশের লাঠি, মুগুর দিয়ে বেধড়ক পেটায়। বিড়ির আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গা ছ্যাঁকা দেয়া হয় বলে আহতরা অভিযোগ করেছেন।

প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলা ওই নির্যাতনের মধ্যে নান্নু মুন্সির বাড়ি থেকে খবর আসে ছাগল বাড়ি ফিরে এসেছে। তখন ফরিদ ও তরিককে ছেড়ে দিয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।

কোটাকোল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু কালাম মুন্সি মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম, তবে আমি তাদের মারিনি। ওই ছেলেরা ভালো লোক না। তাদের নামে থানায় চুরির মামলা আছে। সন্দেহ থেকে তাদের মারা হয়েছে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন মারধরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে পারেনা। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly and PDF