প্রকাশ: ১১ মে, ২০২২ ৪:১৭ : অপরাহ্ণ
ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পূর্ব ইউক্রেনীয় অঞ্চল দখলে এলেও এখনই সংঘাতের পরিসমাপ্তি টানবেন না তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন। এ মুহূর্তে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দেশটির বাহিনীর সঙ্গে রুশ সেনাদের তুমুল লড়াই চলছে। যেকোনোভাবে এ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া রাশিয়া। ঠিক তখনই এ সতর্কবার্তা দিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের চেষ্টা করে রাশিয়া। তবে সেখানে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ইউক্রেনীয় সর্ব বাহিনী। এরপর এখন দেশটির দোনবাস অঞ্চল দখলে নজর দিয়েছে রুশ বাহিনী।
মার্কিন গোয়েন্দারা বলছেন, যদিও এখনও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক এভ্রিল হেইনস স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন সিনেট কমিটির শুনানিতে বলেন, এখনও দোনবাসের বাইরে অন্য লক্ষ্য অর্জনের’ ইচ্ছা পোষণ করছেন পুতিন। তবে নিজের এই ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং রাশিয়ার প্রচলিত সামরিক সক্ষমতার মধ্যে অমিল খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ইউক্রেনকে দুর্বল করার জন্য ‘সম্ভবত’ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমর্থনের ওপর নির্ভর করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কারণ, রাশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যঘাটতি ও জ্বালানির দাম আরও খারাপ হয়েছে।
অবশ্য যুদ্ধ চলতে থাকায় ‘আরও কঠোর পদক্ষেপ’ নিতে পারেন পুতিন। রাশিয়ার ‘অস্তিত্বের হুমকি’ অনুভব করলেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে মস্কো।
চলমান এ লড়াইয়ে নিজেদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ অঞ্চলের চারটি এলাকা রাশিয়ার কাছ থেকে পুনর্দখলের দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, চেরকাসি টাইশকি, রুস্কি টাইশকি, রুবিঝনে ও বায়রাক এলাকা রুশ সেনাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেনের দ্বিতীয় প্রধান শহর খারকিভ থেকে রুশ সেনাদের ক্রমান্বয়ে সরিয়ে দিচ্ছে দেশটির যোদ্ধারা। যুদ্ধ শুরুর পর এখানে ব্যাপক বোমাবর্ষণ হয়েছে।