চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃতদেহের উপর ধর্ষণ করে কামিনি জাহিদ, আদালতে স্বীকারোক্তি

প্রকাশ: ৯ মে, ২০২২ ১১:১৮ : পূর্বাহ্ণ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার সাথে জড়িত গ্রেপ্তারকৃত দু’জন আদালতে জবানবন্দীতে লোম হর্ষক বর্ণনা দিয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি মৃত্যুর পরও রেহাই পাননি পাষণ্ডদের হাত থেকে।

৮ মে রোববার রাতে জয়পুরহাট চীফ জুডিশিয়াল আদালতে আসামি রনি মহন্ত ও কামিনি জাহিদ জবানবন্দীতে তারা সত্যতা শিকার করে লোম হর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।

জয়পুরহাট আদারতের সরকারি কৌশলী নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, গেল ৬ মে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। ওই ঘটনাই ৭ মে রাতেই পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। ৮ মে দুপুরে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য জানান। পরে  ৮ মে রাতে গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

রনি সহকর্মী জাহিদকে নিয়ে ৬ মে রাত ১টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর বাড়ির দেয়াল টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সুযোগ বুঝে রাত ২ টার দিকে তারা ঘরে প্রবেশ করে এবং জোরপূর্বক ভিকটিমের পায়জামা খুলে বিবস্ত্র করে মুখ ও দুই হাত চেপে ধরে। প্রথমে রনি মহন্ত ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। ভিকটিম চিৎকার করলে তার সন্ত্রম রক্ষার জন্য বাধা দেয় এবং রনির বুকে খামচিয়ে ধরে। তখন আসামিরা আয়েশার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে। এতে এক পর্যায়ে ভিকটিম বিছানায় নিস্তেজ হয়ে মৃত্যু বরণ করলে কামিনি জাহিদ মৃত দেহের উপর ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পাঁচবিবি থানার মাঝিনা গ্রামের শংকর মহন্তের ছেলে রনি মহন্ত (৩০) ও আয়মাপাড়া গ্রামের খোরশেদ মণ্ডলের ছেলে জাহিদ হাসান ওরফে কামিনি জাহিদ (৩২)।

Print Friendly and PDF