চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে তৈরি হবে ৫০০ সিসির মোটরসাইকেল

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ১১:৪৫ : পূর্বাহ্ণ

দেশে এখন থেকে উচ্চ সক্ষমতার ৫০০ সিসি (ইঞ্জিনক্ষমতা) মোটরসাইকেলের যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ আমদানি, সংযোজন ও বাজারজাতও করা যাবে। নতুন আমদানি নীতি আদেশে (২০২১-২৪) এ কথা বলা হয়েছে। গত রোববার আমদানি নীতি আদেশটির প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

নতুন আমদানি নীতি আদেশে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারবে।

১৬৫ সিসি সক্ষমতার মোটরসাইকেল আমদানি, উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমোদন রয়েছে। এর বেশি সব ধরনের মোটরসাইকেল আমদানি নিষিদ্ধ। তবে পুলিশের ক্ষেত্রে ১৬৫ সিসির এ ঊর্ধ্বসীমার বিধান প্রযোজ্য নয়। 

যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়েল এনফিল্ড ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে উৎপাদন ও বাজারজাত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। কারখানা স্থাপনের জন্য চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ৩০ একর জমি বরাদ্দ নিয়েছে ইফাদ মোটরস। রয়েল এনফিল্ডের সঙ্গে ইফাদের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার আওতায় তারা এখানে রয়েল এনফিল্ডের ৩৫০ থেকে ৫০০ সিসির উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে পারবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল ছিল ৪ লাখ ১ হাজার ৪৫২টি। কোভিডের প্রভাবে ২০২০ সালে তা কমে ৩ লাখ ১১ হাজার ১৬টিতে দাঁড়ায়। ২০২১ সালে আবার তা কিছুটা বেড়ে হয় ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৫২টি।

ফাদ অটোসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ মঙ্গলবার বলেন, উন্নত দেশে উৎপাদন শুরুই হয় ৫০০ থেকে ৭০০ সিসির ইঞ্জিন দিয়ে। এটার দরকার ছিল। সিদ্ধান্তটির ফলে এখন বিপুল পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।

প্রসঙ্গত, দেশে মোটরসাইকেলের সিসিসীমা ছিল একসময় ১৫৫। পরে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে সিসিসীমা ১৬৫-তে উন্নীত করা হয়।

Print Friendly and PDF