চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ , ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষিত যুবকদের অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করত তারা

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ২:২৯ : অপরাহ্ণ

দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আটকে রেখে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করত একটি চক্র। রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে এমন একজন অপহৃতকে উদ্ধার করেছে র‍্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) র‍্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাজহারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের সময় অপহরণ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আরিফুল ইসলাম মাসুম (৪৪), মো. রেফাজুল ইসলাম লিংকন (২৭), মো. মতিয়ার রহমান (৫০) ও মো. মজিবর রহমান (৫২)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজসে প্রথমে দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবসমাজকে টার্গেট করে তাদের সঙ্গে কৌশলে সখ্যতা তৈরি করে। এরপর তাদের নগদ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখায়। এতে অনেক চাকরিপ্রত্যাশী বেকার তরুণ-যুবক তাদের কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাদের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয়। তখন আসামিরা কৌশলে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীদের তাদের সুবিধাজনক স্থানে আসতে বলে। এরপর নিয়োগপত্র পাওয়ার আশায় ভুক্তভোগীরা সেখানে গেলে তারা তাদের আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করত।

মাজহারুল ইসলাম বলেন, গত ১২ এপ্রিল একজন ভুক্তভোগীর বাবা র‍্যাব-৪ এ অভিযোগ করেন কিছু দুষ্কৃতিকারী তার ছেলে মো. আনোয়ারুল ইসলামকে (২২) নগদ ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে ভালো বেতনে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। অপহরণ চক্রের সদস্য মতিয়ার রহমান ভুক্তভোগীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর বাবা তার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায়। ওই দিন বেলা ৩টার সময় ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে তার বাবাকে জনৈক আরিফুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে জানায়, তার ছেলে তাদের কাছে আছে এবং তাকে ফেরত পেতে হলে আপাতত তাদের এক লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দিতে হবে। অন্যথায় তারা তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে এবং তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অন্যত্র বিক্রি করে দেবে। এরপর র‍্যাব-৪ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

Print Friendly and PDF