প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ১১:৪৪ : পূর্বাহ্ণ
দখিনা হাওয়ায় এখন কেবলই বৈশাখের আগমনী সুর। বাংলা বর্ষবরণে নতুন সাজে সেজেছে সারা দেশ। করোনার দুই বছর পর, রং তুলির শেষ আঁচড়ে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে মুখোশ। মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত হাতি, ঘোড়া, বাঘ আর পুতুলের প্রতিকৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের তাই দম ফেলার সময় নেই। তারা জানান, লোকজ যে ফর্মগুলো আছে, আমরা সেই ফর্ম নিয়েই কাজ করছি।
সংস্কৃতির রাজধানীতে দুই বছর পর হচ্ছে লোকজ উৎসব। যা প্রাণবন্ত আর গতিময় করতে রয়েছে নাচ-গানের আসর। এ বিষয়ে জাবি শিক্ষক শামীম রেজা জানান, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই স্বতঃস্ফূর্তভাবেই কাজগুলো করছে, আমরা আনন্দিত রোজা রেখেও এভাবে তারা কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বাঙালির চিরায়ত প্রাণের উৎসব উদযাপনে বসে নেই, যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনও। মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি তরুণ-তরুণীদের। তারা জানান, ১৯৮৫ সাল থেকেই কিন্তু আামাদের শোভা যাত্রাটি শুরু হয়।এর বেশ কিছু পরে ঢাকাতে শুরু করে।
এ বিষয়ে যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন বলেন, এবারের নববর্ষের মধ্য দিয়ে প্রাণের স্পন্দন আমরা ফিরে পাচ্ছি।
পুরনো দুঃখ দৈন্যতা ভুলে, নতুন উদ্দীপনায় জীবন রাঙাতে প্রহর গুনছেন কোটি বাঙালি।