প্রকাশ: ৭ এপ্রিল, ২০২২ ১:৫৫ : অপরাহ্ণ
ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে অনিয়মের প্রমাণ পেলে ছাড় দেয়া হবে না। এমনটাই বলেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করতে সুনামগঞ্জ গিয়ে তিনি আরও জানান, হাওরাঞ্চলের নদীগুলো দ্রুত খনন করা হবে।
এরই মধ্যে পানির চাপ সামলাতে না পেরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ভেঙে গেছে ঘনিয়াকুড়ি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকতে থাকে বিস্তীর্ণ বোরো ধানে জমিতে। এতে ডুবছে কৃষকের বোরো ধানের জমি।
মঙ্গলবার থেকে বাঁধটির কিছু অংশে কৃষকরা সেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছিলেন। চেষ্টা করছিলেন নড়বড়ে বাঁধ মেরামতের কিন্তু অব্যাহত পানির চাপ সামাল দিতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্ত অংশ। এর আগে, শাল্লা, ধর্মপাশা ও দিরাইয়ে ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে বোরো ধান তলিয়ে যায়।
এদিকে একই অবস্থা কালনার হাওরে ফসল ডুবে যাওয়া বেশিরভাগ কৃষকেরও। গত ৩ দিনে সুনামগঞ্জের ৭টি হাওরে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে এক হাজার হেক্টরের বেশি বোরো ফসল। ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে প্রায় প্রতিটি হাওর রক্ষা বাঁধ। রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন হাজারো কৃষক।