প্রকাশ: ৫ এপ্রিল, ২০২২ ১২:১৪ : অপরাহ্ণ
সাম্প্রতিক সময়ে গ্রীষ্মে রমজান শুরু হচ্ছে। এ কারণে ক্লান্তিভাব একটু বেশিই থাকে। কারণ, রমজানে রোজা রেখে নিয়মিত অফিস-আদালতের কাজ চালিয়ে যেতে হয়। অন্যান্য দিনের মতোই কাজের চাপ থাকায় ক্লান্তিভাব অনুভব হয় শরীরে। আবার কারো ক্ষেত্রে রোজা অবস্থায় দিনের অর্ধ বেলা পার করার পরও ক্লান্তিভাব চলে আসে। কখনো রমজান ছাড়াও ক্লান্তিভাব অনুভব করেন অনেকে। এসব ক্লান্তিভাবকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।
এবার তাহলে রমজানে ক্লান্তিভাব চলে আসার কারণ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব: যথেষ্ট পরিমাণ ঘুম না হওয়ায় শরীর ক্লান্ত হয়ে থাকে। এ থেকে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও মানসিক অবসাদের মতো সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই রমজানে ইফতারের পর নামাজ শেষে সাহরির আগ পর্যন্ত সম্ভব হলে ঘুমিয়ে নেয়া উচিত।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ: পুষ্টির অভাবেও শরীর ক্লান্ত হয়। এ কারণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। কেননা, আয়রন, ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ ও ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি-এর মতো জরুরি উপাদানের ঘাটতি থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। আর আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা হয়ে থাকে। যে কারণে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায় শরীর।
অবসাদ: অবসাদে ভোগা মানুষের অনেক সময়ই কাজে অনীহা দেখা দেয়। এ থেকে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। আর মানসিক স্বাস্থ্যকে দীর্ঘদিন উপেক্ষা করা একদম উচিত নয়। এই সমস্যা থেকে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ডায়াবেটিস: যারা ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন তাদের অনেকেই জানেন, নিয়মিত ক্লান্তিবোধ করা এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। শরীরে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে এই সমস্যা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আবার কিডনির সমস্যাও ডেকে আনে ডায়াবেটিস। যা ক্লান্তি ডেকে আনে।
প্রসঙ্গত, রমজানে বিকেলে ক্লান্তিভাব যদি অনেক বেশি অনুভব করা হয় তাহলে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।