প্রকাশ: ৪ এপ্রিল, ২০২২ ১:০৩ : অপরাহ্ণ
এবার গ্রীষ্মের সময় শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। সংযমের এ মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদতে মশগুল থাকেন। তবে সারাদিন রোজা থেকে সন্ধ্যায় একটু তৃপ্তির জন্য রকমারি খাবার খাওয়া হয়। শরীর ঠান্ডা রাখার জন্যও খাবারের আয়োজনে কোনো কমতি থাকে না। এসব আয়োজনের মধ্যে অ্যালোভেরার জুস বা শরবত শরীর ঠান্ডা রাখতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
প্রাকৃতিক এই অ্যালোভেরায় খনিজ, ভিটামিন, এনজাইম, স্যাপোনিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড উপাদান রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, কপার, ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও জিঙ্ক। নানাগুণে সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা দিয়ে ইফতারে শরবত বা জুস তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। এবার তাহলে অ্যালোভেরার শরবত পানের উপকারিতা তুলে ধরা হলো-
রমজানে সারাদিন রোজা রেখে অফিস বা ব্যক্তিগত নানা কাজে ব্যস্ততার কমতি থাকে না। এসব কাজ করতে করতে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। অফিসে বসে যারা কাজ করেন তাদের অনেকের মাথাব্যথাও হয়ে থাকে। তাই ইফতারে বা সেহরিতে অ্যালোভেরার শরবত বা জুস পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। সঙ্গে মাথা ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে। যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা রমজান ছাড়াও নিয়মিত অ্যালোভেরার শরবত পান করেতে পারেন। এর রস প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে থাকে। এটি আপনার পেট পরিষ্কারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও কাজ করে থাকে।
শরীরকে ডিটক্স করার প্রয়োজনীয়তার কোনো বিকল্প নেই। কেননা, শরীরে টক্সিন জমতে থাকলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু অ্যালোভেরার জুস টক্সিন বের করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
নিয়মিত অ্যালোভেরার শরবত পানে স্বাস্থ্যের উপকার তো হয়েই থাকে, পাশাপাশি ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। ত্বক ও চুলে অ্যালোভেরা লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক রূপ বিশেষজ্ঞ।