চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন

প্রকাশ: ৩ এপ্রিল, ২০২২ ৪:০২ : অপরাহ্ণ


নানা নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফুর রেহমান আলভি। রোববার (৩ এপ্রিল) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। অবশ্য, এখনো ঘোষিত হয়নি তারিখ। তবে, এক টুইটে পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফারুক হাবিব জানান, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে তোলা ‘অনাস্থা প্রস্তাব’ খারিজ করেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। কারণ হিসেবে অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেন তিনি। খবর আল জাজিরার।

সুতোয় ঝুলছিল ইমরান খানের ভাগ্য। অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে যাচ্ছেন, এ ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে আদালতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেও ব্যর্থ হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছিল যে, ইমরানের পতন কেবল সময়ের ব্যাপার। আগেরদিন পার্লামেন্ট বসলেও অধিবেশন শুরু হতে না হতেই শেষ হয়। তাই রোববারও অপেক্ষা ছিল কী হয়। শেষ পর্যন্ত অনাস্থা ভোটের বদলে প্রস্তাবই বাতিল করে সবাইকে চমকে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। প্রথম বাক্যেই ‘নো-ট্রাস্ট’ ভোটকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেন তিনি। ডেপুটি স্পিকার বলেন, আইনকানুন আর সংবিধান অনুসারে পার্লামেন্ট ও রাষ্ট্র পরিচালনা করা জরুরি। কোনো বিদেশি রাষ্ট্র ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পাকিস্তান সরকারের পতন ঘটানোর এখতিয়ার রাখে না। প্রধানমন্ত্রী যে অভিযোগ তুলেছেন, তা পুরোপুরি বৈধ। তাই, সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করলাম।

কথা থাকলেও নাটকীয়ভাবে অনাস্থার হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার মুহূর্তটিতে অধিবেশনে ছিলেন না ইমরান খান। এ দফায় রক্ষা পাবার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তাতে স্পষ্ট ছিল আগাম নির্বাচনের ঘোষণা। ইমরান খান বলেন, আজ পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন ডেপুটি স্পিকার। এরপর, প্রেসিডেন্টের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ, পার্লামেন্ট ভেঙে দিন। আগাম নির্বাচন ঘোষণা করুন। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা জনতার দরজায় যাবো। দেশের জনগণই ঠিক করবেন, তারা কাকে ক্ষমতায় দেখতে চান।

ইমরানের আহ্বানের পর মুহূর্তেই পার্লামেন্ট বিলোপ করেন প্রেসিডেন্ট আরিফুর রেহমান আলভি।

শনিবার রাত থেকেই ইমরানের সমর্থনে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহর ছিল বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল। পার্লামেন্ট অধিবেশন নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীতে জারি ছিল ১৪৪ ধারা। এর আগে, স্পিকারের কাছে ইমরান খানের বিরুদ্ধে গত ৮ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব দেয় বিরোধীরা।

Print Friendly and PDF