চট্টগ্রাম, রোববার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট নিয়ে যে সিদ্ধান্ত এলো

প্রকাশ: ৩ এপ্রিল, ২০২২ ১:৪৮ : অপরাহ্ণ


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট খারিজ করেছেন ডেপুটি স্পিকার কাশিম খান। এতে পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার (৩ এপ্রিল) অধিবেশন শুরুর পরপরই অনাস্থা ভোট খারিজ করেন ডেপুটি স্পিকার।

এদিনই ১৪৪ ধারা জারি করা হয় রাজধানী ইসলামাবাদে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, অনাস্থা ভোটের দিন (৩ এপ্রিল) জারি করা এই ১৪৪ ধারা অনুযায়ী কোনো বড় সমাবেশ গ্রহণযোগ্য নয়। এ ছাড়া মোটরসাইকেলে দুজন চড়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

জিনিউজ জানায়, অধিবেশন ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। পিটিআই নেতারা ডি-চকের কাছাকাছি এবং সংসদ ভবনের দুয়ারে বিরোধীদলীয় নেতাদের ঢোকার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারেন। যদিও সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী উচ্চ নিরাপত্তা ঝুঁকি সংবলিত এলাকায় কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ।

পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী তাদের ক্ষমতার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। রাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে বাধ্য হয়েছেন ক্ষমতা ছাড়তে। ক্ষমতায় আসার সাড়ে তিন বছরের মাথায় পদ ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও।

এমন অচলাবস্থার মধ্যেই পাকিস্তানের বিরোধীদের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত করার অভিযোগ এনেছেন ইমরান খান। তার অভিযোগ, ওয়াশিংটন তাকে পদচ্যুত করতে চাইছে কারণ তিনি একটি স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করছেন এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনি রাশিয়া সফর করেছেন।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন। জিও নিউজের হিসাব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বিরোধী জোটের হাতে রয়েছে ১৯৯ ভোট। অন্যদিকে ইমরান সরকারের রয়েছে ১৪২ ভোট। প্রস্তাবের ওপর বিতর্কের পর আগামী ৩ এপ্রিল ভোটাভুটি হতে পারে।
এদিকে অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার মধ্যে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার সরকারের মন্ত্রীরা। এ ছাড়া ‘হুমকি দিয়ে চিঠি’ পাঠানোর ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকও আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

Print Friendly and PDF