গরম বাড়ার সঙ্গে চট্টগ্রামে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে ভর্তির ৫০ শতাংশ শিশুই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। শীত শেষে তীব্র গরমের কারণে বাড়ছে এ রোগের প্রকোপ। এ অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে পরিষ্কার ও খোলামেলা জায়গায় রাখার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
শিশু সুমাইয়ার প্রথমে লক্ষণ ছিল সর্দি, জ্বর আর কাশি। পরে শ্বাসকষ্টের মাধ্যমে তা রূপ নেয় ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়ায়। ১০ দিন ধরে আইসিইউর হেড বক্সে চলছে তার চিকিৎসা।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি শিশুর ৬০-৭০ শতাংশই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। শীত শেষে তীব্র গরমের কারণে বাড়ছে ভাইরাল নিউমোনিয়া, যা শিশুর ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রকে আক্রান্ত করছে বলে মনে করছেন শিশু আইসিইউ রেজিস্টার ডা. মিশু তালুকদার।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু মোহাম্মদকে নিয়ে তিন দিন ধরে হাসাপাতালে যুদ্ধ করছেন তার মা-বাবা। সাধারণ ওয়ার্ডেও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম মা শিশু হাসপাতাল মেডিকেল অফিসার তুলি নীল সরকার।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল জেনারেল সেক্রেটারি মো. রেজাউল করিম আজাদ জানান, শিশুর জন্য ২৭০ শয্যার চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ধারণক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি আছে এই মুহূর্তে। চাপ সামলে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি রাখা হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
ইউনিসেফের তথ্য অনুসারে নিউমোনিয়া বিশ্বের প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। আর সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে দেশে প্রতি বছর প্রায় ২৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হয় শুধু নিউমোনিয়ার কারণে।