প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:২৫ : অপরাহ্ণ
আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ খতিব আওলাদে রাসূল (সা.) আল্লামা সাইয়েদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরী আল মাদানী বলেন, এখন আর আলেম–ওলামাদের মুখে তালা নাই, তালা খুলে গেছে। কোনো শক্তি নেই কুরআনের উপর আঘাত দিতে পারে। কুরআনের আইন চলবে, কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। তিনি বলেন, আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদের চত্বর থেকে হকের আওয়াজ আসে। আপনাদের এটাও জানাতে চাই, বাংলাদেশে যদি কখনো ইসলামের ডাক আসে তবে এই আন্দরকিল্লা থেকে আসবে। কুরআনুল কারিম ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।
গতকাল শনিবার আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বর মাঠ প্রাঙ্গণে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উদ্যোগে আজিমুশশান মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত চট্টগ্রামের সভাপতি ও বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমানের সভাপতিত্বে ও সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মোহসিন আল হোসাইনী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম ও সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহবুবের সঞ্চালনায় মাহফিলে বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো–ভিসি প্রফেসর ড. মাওলানা আবু বকর রফিক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রাক্তন খতিব মাওলানা এবিএম ছিদ্দীকুল্লাহ, চুনতি লোহাগাড়ার পীর মাওলানা মুহাম্মদ হাফিজুল হক নিজামী, ফিরোজ শাহ কলোনির পীর হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. মাওলানা এটিএম তাহের, দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস শাহজাদা মাওলানা মনিরুল মান্নান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আ ক ম আব্দুল কাদের, প্রফেসর ড. মাওলানা আহমদ আলী, প্রফেসর ড. মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, প্রফেসর ড. মাওলানা নিজাম উদ্দিন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. বিএম মুফিজুর রহমান আজহারী, বায়তুশ শরফ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ছালেহ মুহাম্মদ ছলিমুল্লাহ, চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ শাহ আলম, পটিয়ার চরকানাই মাওলানা মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ, কাট্টলী জাকেরুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আবু হানিফা মুহাম্মদ নোমান ও মাওলানা মমতাজুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান মেহমানের বক্তব্যে আল্লামা সাইয়েদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরী আল মাদানী আরও বলেন, আমরা চাই দেশ শান্তভাবে দ্বীনের রাস্তায় চলুক। অনেক শহীদের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ। অনেকে ছেলে হারিয়েছে, অনেক স্ত্রী স্বামী হারিয়েছে। এটিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমি আলেম–ওলামাদের সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই যাতে এক কাতারে শামিল হোন সেই অনুরোধ করব। সবাই একতাবদ্ধ হলে বাংলাদেশে দ্বীন কায়েম হতে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যাপার। শুধু নসিহতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না।
মাহফিল শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।