চট্টগ্রাম, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন আইসিসি প্রসিকিউটর

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ৩:৫১ : অপরাহ্ণ

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ. খান বুধবার ঢাকা’র স্টেট গেস্ট হাউস যমনুায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক উদ্যোগ এবং জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণ আন্দোলনের সময় হওয়া বর্বরতায় বিচার ও দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রসিকিউটর প্রধান উপদেষ্টাকে জানান যে, তাঁর অফিস মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং-এর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়ে আইসিসিতে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে।

 

 

করিম খান প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিশেষ বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজনের আহ্বানকে সমর্থন জানান। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২৫ সালে সম্মেলনটি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে সম্মেলন থেকে এই সংকটের স্থায়ী সমাধানে নতুন দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে। সম্মেলনের স্থান, তারিখ এবং পদ্ধতি ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে নির্ধারিত হবে।

 

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সম্মেলনটি সকল আন্তর্জাতিক স্টেক হোল্ডারদের একটি মঞ্চে নিয়ে আসবে, যাতে রোহিঙ্গাদের সংকট এবং বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরগুলোর শিশুদের ভবিষ্যত নিয়ে একটি টেকসই সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আরও অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী আসা এবং মিয়ানমারে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর পূর্ববর্তী আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ভেতরে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বাস্তুচ্যুত মানুষের সহায়তায় এবং চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় সাহায্য করবে।

 

 

“এই অঞ্চলের নিরাপত্তা অবশ্যই জাতিসংঘ দ্বারা নিশ্চিত করা উচিত। যখন যুদ্ধ থামবে, তখন নিরাপদ অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ সহজেই তাদের নিজ এলাকায় ফিরে যেতে পারবে,” তিনি বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করবে, বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের গণ আন্দোলনে নিহতদের হত্যাকাণ্ড এবং তার দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলে ঘটে যাওয়া হাজার হাজার গুমের ঘটনায়।

 

 

আইসিসি প্রসিকিউটর জানান যে, তাদের অফিস আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশের আদালতের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী, যা শেখ হাসিনা এবং তাঁর রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মর্শেদ, এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহও সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।

 

Print Friendly and PDF