প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:৩৩ : পূর্বাহ্ণ
কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। আজ শনিবারের মধ্যে পানি আরও আরও বাড়তে পারে। এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের নিন্মাঞ্চল ও চরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের সর্বশেষ বার্তায় এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বার্তায় বলা হয়েছে, উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে হঠাৎ ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলেও ভারী বৃষ্টি চলছে। এতে উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদী তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও আত্রাইয়ের পানি দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। তবে এখনো এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তিস্তা নদীর পানি আজ বিপৎসীমার কাছাকাছি বা অতিক্রমও করে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, আজ শনিবার থেকে তিস্তা অববাহিকার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। আগামী চার–পাঁচ দিন পর গঙ্গা অববাহিকায় পানি বাড়তে পারে। অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্র নদ ও যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে পরবর্তী চার দিনে তা বৃদ্ধি পেতে পারে।
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার সব নদী এবং বিলের পানির স্তর বাড়ছে। এতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে, বসতবাড়ি ও রাস্তা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে, এবং আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় গতকাল ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দেশের মধ্যাঞ্চলের এলাকা রাজধানীসহ ঢাকা বিভাগেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতে গতকাল বেলা তিনটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৭০ মিলিমিটার। বৃষ্টির পাশাপাশি দেশের বেশির ভাগ এলাকার বাতাসের আর্দ্রতা অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। ফলে একদিকে বৃষ্টি ঝরছে, অন্যদিকে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি থাকছে।