চট্টগ্রাম, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ , ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচ ব্যাংকে টাকা রেখে বিপাকে চট্টগ্রাম বন্দর

প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:২২ : পূর্বাহ্ণ

 

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৪টি ব্যাংকসহ মোট পাঁচটি ব্যাংকে রাখা ১ হাজার ১০৬ কোটি টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কেননা ব্যাংকগুলো এখন তারল্য সংকটে ভুগছে। ফলে সেখানে রাখা টাকা ফেরত পেতে বেগ পেতে হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। শরণাপন্ন হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকারের আর্থিক বিভাগকে কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে এই অর্থ উদ্ধারের পদেক্ষপ নিতে হবে।

 

 

আইন ছিল সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিলে থাকা টাকার ৭৫ শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এবং ২৫ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে জমা রাখা যাবে। কিন্তু চার বছর আগে এই আইন সংশোধন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ৫০ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকে ৫০ শতাংশ অর্থ জমা রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এরপর নানামুখী চাপে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে বিপুল অংকের টাকা জমা রাখে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে স্থায়ী আমানত ১৮৯ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংকে ৪১০ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে ১১৫ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ২১২ কোটি টাকা ও পদ্মা ব্যাংকে রয়েছে ১৮০ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট দেখা দেওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ চাহিদামত টাকা পাচ্ছে না। সব মিলিয়ে ১ হাজার ১০৬ কোটি টাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

 

 

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, ঝুঁকি বিবেচনা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর রিজিওনাল প্রধানদের ডেকে আমানতের টাকা ফেরত দিতে বলেছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তাও চাওয়া হয়েছে।

আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন দুর্বল ব্যাংকগুলোতে আমানত রাখা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পাশাপাশি সরকারের আর্থিক বিভাগকে কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে আটকে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।

ভবিষ্যতে অর্থ রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

Print Friendly and PDF