প্রকাশ: ৭ জুলাই, ২০২৪ ১০:৩৩ : পূর্বাহ্ণ
“স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ নিন, অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য দিন”-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর উদ্যোগে কাল রোববার (০৭ জুলাই ২০২৪ খ্রি.) থেকে শুরু হচ্ছে ৪র্থ অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এর লিস্টিং কার্যক্রম। চলবে জুলাই মাসের শেষদিক পর্যন্ত। এতে প্রথমবারের মতো ট্যাবলেট পিসির মাধ্যমে ডিজিটাল Computer Assisted Personal Interviewing (CAPI) পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়োগকৃত তালিকাকারী বা লিস্টারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লিস্টারগণ পরিচয়পত্র সাথে নিয়ে দেশের সকল সাধারণ খানা (ঘরে ঘরে), মেস, বাজার, দোকানপাট, মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, সরকারি/বেসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ক্লাব, কোম্পানি, ব্যাংক, হল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ সকল ধরনের ছোটোবড়ো প্রতিষ্ঠানে তথ্য সংগ্রহ করতে যাবেন।
এই শুমারির লিস্টিং কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের মোট ইকোনোমিক ইউনিটের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে এবং পরবর্তীতে সেসব ইকোনোমিক ইউনিটে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে বিজনেস রেজিস্ট্রারসহ একাধিক প্রতিবেদন বিবিএস কর্তৃক প্রকাশ করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের প্রেক্ষিত ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, বদ্বীপ পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ইত্যাদি
প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইকোনোমিক ইউনিটের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বিদ্যমান সমস্যা নিরূপণ করে সমাধানের মহাপরিকল্পনা গ্রহণে এ শুমারির গুরুত্ব অপরিসীম। বিবিএস ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সকলের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন ও নিরাপদ থাকার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ এবং শুমারি আইন ১৯৭২ অনুসারে দেশের সকল খানা, প্রতিষ্ঠানসহ যে কোনো জায়গায় শুমারিকর্মীর প্রবেশাধিকার রয়েছে এবং খানায় বসবাসকারী ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দায়িত্ববান সকল ব্যক্তি তথ্য প্রদানে বাধ্য। তথ্য প্রদানে অপারগতা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
চট্টগ্রাম-৬ শুমারি জেলার (পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, কর্ণফুলী ও আনোয়ারা) জেলা শুমারি সমন্বয়কারী (ডিসিসি) ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা জনাব মীর আন্-নাজমুস সাকিব জানান, লিস্টিং কার্যক্রমে চট্টগ্রাম-৬ শুমারি জেলাধীন পাঁচটি উপজেলায় মোট ৩ জন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী (ইউসিসি), ২১ জন জোনাল অফিসার, ২১ জন আইটি লিস্টার এবং ৫৯৫ জন লিস্টার অংশগ্রহণ করবেন। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে তথ্য দিয়ে সহায়তার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান।