প্রকাশ: ১৪ জুন, ২০২৪ ৩:৪০ : অপরাহ্ণ
সৌদি আরবে এ বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সারা বিশ্ব থেকে হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে যাওয়া প্রায় ২০ লাখ মানুষের মধ্যে বাংলাদেশি আছে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। আজ শুক্রবার মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রার মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
হাজীদের জন্য মিনায় অবস্থান করাটা সুন্নত। মিনায় অবস্থান শেষে আরাফার ময়দান আর মুজদালিফা হয়ে মিনায় পাথর ছুঁড়ে মারা, মাথার চুল ফেলা, সাফা-মারওয়া সায়ী, তাওয়াফ ও দমে শোকর আদায়ের মাধ্যমে আগামী মঙ্গলবার শেষ হবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।
হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুক্রবার থেকে শুরু হলেও অনেক হজযাত্রীকে বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁবুর শহর মিনায় নেওয়া শুরু করছেন মুয়াল্লিমরা। এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরামের কাপড় পরে মিনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন হাজিরা। মিনায় গিয়ে হাজিরা ফজর থেকে শুরু করে এশা পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন নিজ নিজ তাঁবুতে।
এরপর ৯ জিলহজ সকাল থেকে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে শুরু করবেন হাজীরা। দুপুর থেকে সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত সেদিন আরাফার ময়দানে অবস্থান করাটা প্রত্যেক হাজীর জন্য ফরজ। মূলত এদিনকেই হজের দিন বলা হয়। দিনটি ইয়াওমুল আরাফা হিসাবেও পরিচিত। এরপর হাজিরা আরাফার ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন এবং পাথর সংগ্রহ করবেন।
হাজিরা ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে যাবেন। সেখানে তারা বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সায়ী করবেন। এরপর হাজিরা আবার মিনায় ফিরে ১১ এবং ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন। এ সময় প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।
এবার আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা প্রদান করবেন মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি। একইসঙ্গে তিনি মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন।