প্রকাশ: ৮ মার্চ, ২০২৪ ৩:২৩ : অপরাহ্ণ
শীত শেষ। এখন বাইরে বের হলেই সূর্যের তাপ অসহ্য লাগে। ঘাম মুছতে মুছতে নাজেহাল সবাই। একই সঙ্গে কিছুক্ষণ পর পর তৃষ্ণার ব্যাপার তো রয়েছে। তৃষ্ণা পেলেই এ সময় সবাই ঠান্ডাজাতীয় পানীয় পান করেন। কেউ কেউ বাইরের বিভিন্ন জুস পান করেন। তবে অধিকাংশেরই পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে আখের রস।
বিভিন্ন পুষ্টিবিদদের মতে, কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয়ের থেকে ফলমূলের জুস পান করা ভালো ও স্বাস্থ্যকর। এ কারণেই সবাই আখের রস পান করেন। পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় আখের রস পানে অনীহা নেই কারো। ফলে কেউ কেউ আবার বারবার বা প্রচুর পরিমাণে আখের রস পান করেন। কিন্তু প্রতিদিন আখের রস পান করা কি ভালো?
এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভিয়েতনামের সংবাদমাধ্যম ভিএন এক্সপ্রেস ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিবেদনে ভিয়েতনাম একাডেমি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ড. বুই ড্যাক সাং বলেছেন, একজন সাধারণ মানুষ যদি খুব বেশি রস পান করেন, তাহলে তার ওজন বাড়তে পাড়ে। গড়ে ২৪০ মিলিমিটার কাপে প্রায় ১৮৩ ক্যালোরি এবং ৫০ গ্রাম চিনি থাকে। যা ১২ চা চামচের সমান।
তিনি আরও বলেন, চিনি পুরুষদের জন্য ৯ চা চামচ এবং নারীদের জন্য ৬ চা চামচ করে দৈনিক খাওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আখের রস বেশি পান করলে স্বাভাবিকভাবেই বেশি চিনি গ্রহণ করা হয়।
এছাড়া ডায়াবেটিস, ডিসলিপিডেমিয়া বা গাউটে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিক পরিমাণ আখের রস পান করা ঠিক নয়। গর্ভবতী নারী, যাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, বৃদ্ধ ও চার বছরের কম বয়সী শিশু―তাদেরও আখের রস পান করা উচিত নয়।
আবার বাজারে থাকা আখের রস অস্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। অস্বাস্থ্যকর আখের রস পানে সংক্রমণ ও খাদ্য বিষক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য দুর্বল, পাচনতন্ত্রের লোকেদের, প্রায়ই ডায়রিয়া হয়, তাদের ঘন ঘন জুস পান করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। আর প্রাপ্তবয়স্করা স্বাস্থ্যের ওপরভিত্তি করে সপ্তাহে এক থেকে দুই কাপ রস পান করতে পারেন।