প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৪:০৯ : অপরাহ্ণ
দ্রুত ওজন কমানোর পর অধিকাংশ মানুষের পক্ষেই তা ধরে রাখা সম্ভব হয় না। স্থায়ীভাবে ওজন কমানোর সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা। আর এজন্য সর্বপ্রথম ধাপ হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো চিনে নেয়া এবং সেই অনুযায়ী দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা।
সারাদিন কাজ চালিয়ে নেওয়ার মূল শক্তি সকালের খাবার থেকেই আসে। তাই সকালের খাবারটা হওয়া উচিত স্বাস্থ্যসম্মত। সে কথা ভেবে অনেকেই সকালে নানা কিছু দিয়ে স্মুদি তৈরি করে খান। আবার কেউ কেউ শুধু সবজি-ফল দিয়েই হালকা নাশতা করেন। কেউ রুটি-পরোটা খান, কিংবা দুধ বা দুধজাতীয় খাবার দিয়ে সারেন সকালের নাশতা।
খাবারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে দিনের শুরুর খাবারে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এটির ওপর নির্ভর করে ওজন কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এখন প্রশ্ন হলো কী ধরনের খাবার আপনি খেতে পারেন?
চিয়া সিড
বর্তমানে ওজন হ্রাসের জন্য জনপ্রিয় খাবার হলো এই চিয়া সিড। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই চিয়া সিড অন্ত্রের জন্য বেশ উপকারী। শারীরের ভেতরের বিভিন্ন অঙ্গের কর্মকান্ড স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে চিয়া সিড। আবার এটি অনেকটা সময় পর্যন্ত পেট ভর্তি করে রাখে ফলে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনে। ফলে অতিরিক্ত ক্যালরি খেয়ে ফেলার ভয় থাকে না।
তিসি
এটি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখলে পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়। এতে থাকা ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ওজন ঝরাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কাঠবাদাম
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে এই বাদামে, ফাইবার পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখে। আবার হজমক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
ওটস
ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী একটি খাবার ওটস।
স্বল্প ক্যালরি সম্পন্ন এই খাবার অনেকটা সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখে। আবার এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
সিদ্ধ ডিম
ওজন কমাতে চাইলে আপনাকে ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখতেই হবে। যে কোনো ধরনের প্রোটিন রিচ খাবারের মধ্যে সবচেয়ে উপকারী প্রোটিনের উৎস হলো ডিম। তবে এখানেই শেষ নয়, এতে রয়েছে আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি১২, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ফল
আপেল ও পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা দেহের ওজন কমাকে সাহায্য করে।
সুত্র:বৈশাখী অনলাইন