প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:২৬ : পূর্বাহ্ণ
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে রয়েছে ৯টি লোহার দানবাক্স। প্রতি তিন মাস পরপর এই দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৩ মাস ২০ দিন পর শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছে। যা থেকে ২৩ বস্তা টাকা মিলেছে। এতে পাওয়া গেছে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা। এতে পূর্বের সব রেকর্ড ভাঙল ঐতিহাসিক এই মসজিদটি। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দানবাক্সে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গেছে। মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা করার জন্য এ টাকাগুলো রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে। এখনও চলছে গণনার কাজ। এতে প্রায় ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। পরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয় গণনার জন্য। বাক্সগুলো খুলে দেখা যায়, সেখানে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়নাও।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল। এর আগে ৬ মে রমজানের কারণে চার মাস পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ১৯টি বস্তায় রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া যায়। এছাড়া চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্স খুলে ২০টি বস্তায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া যায়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আটটি দানবাক্স থাকলেও এবার আরও একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বাড়ায় এখন পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সংখ্যা ৯টি।