প্রকাশ: ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ১০:১৮ : পূর্বাহ্ণ
ধানক্ষেতে পোকামাকড় দমনে পরিবেশবান্ধব পার্চিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়েছে । এতে জমিতে বেশি কীটনাশক লাগে না। ফলে কৃষকদের খরচ অনেকটাই কমে গেছে। ফলনও হচ্ছে ভালো। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি বিষমুক্ত শষ্য উৎপাদনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করছে জেলার কৃষি বিভাগ।
ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে ধানের জমিতে বাঁশের কঞ্চি ও নানা ধরনের গাছের ডাল পুঁতে রাখা হয় পাখিদের বসার জন্য। এতে পাখিরা ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। এটাই পার্চিং পদ্ধতি। ধান রোপনের বিশ দিনের মধ্যে জমিতে পার্চিং দিতে পারলে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের বংশ বিস্তার হয়না। কৃষকরা কীটনাশকের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে সুফল পাচ্ছেন।
চলতি মৌসুমে জেলার ৬৯ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। যার শতকরা প্রায় ৮৩ ভাগ জমিতে ব্যবহার হচ্ছে পার্চিং পদ্ধতি। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানালেন জয়পুরহাট কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষন অফিসার এনামুল হক।
সূত্র – বৈশাখী অনলাইন