প্রকাশ: ৬ মে, ২০২৩ ১১:১৯ : পূর্বাহ্ণ
সাত দশকের মধ্যে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ও রাজকীয় অনুষ্ঠানে আজ রাজা তৃতীয় চার্লস রাজমুকুট পরবেন৷ হাজারো মানুষ রাস্তায় লাইনে দাঁড়াবে সেই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে লাখো বাড়ি থেকে কোটি মানুষ টেলিভিশনে অনুষ্ঠানটি দেখবেন।
অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে বিশেষ ১০টি আকর্ষণীয় ও নজরকারা বিষয় নিচে দেয়া হলোঃ
১. রাজা তৃতীয় চার্লস লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে ১৪ শতকের সিংহাসনে আরোহনের সঙ্গে সঙ্গে ৩৬০ বছর বয়সী সেন্ট এডওয়ার্ডস মুকুটটি তার মাথায় পরিয়ে দেয়া হবে। এর পরই তিনি হয়ে উঠবেন সবচেয়ে বয়স্ক ব্রিটিশ রাজা।
২. রাজা চার্লসের অভিষেকের মাধ্যমে ১৯৩৭ সালের পর থেকে তিনি প্রথম ব্রিটিশ রাজা হতে যাচ্ছেন। গত সেপ্টেম্বরে তার মা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরে চার্লসের রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানটি ধর্মীয়ভিত্তিতে নিশ্চিত করা হয়।
. চার্লস এবং তার স্ত্রী ক্যামিলা ডায়মন্ড জুবিলি স্টেট কোচে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে আসবেন। ছয়টি উইন্ডসর গ্রে হর্স, রাজার দেহরক্ষী, হাউসহোল্ড অশ্বারোহী সদস্যরা এসময় সঙ্গে থাকবেন।
৪. রাজ্যাভিষেকে মাত্র দুই হাজার দেশি-বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন। ১৯৫৩ সালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মাথায় মুকুট পরানোর অনুষ্ঠানে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে এসেছিলেন চার হাজারের বেশি অতিথি।
৫. অনুষ্ঠানটি খ্রিস্টান ধর্মীয় রীতিতে আয়োজিত হলেও অন্যান্য ধর্মের নেতাদের কাছ থেকে একটি `অভূতপূর্ব` অভিবাদন ও শুভেচ্ছা বার্তা সেখানে থাকবে। চার্লসের নাতি প্রিন্স জর্জ এবং ক্যামিলার নাতি-নাতনিরা সেখানে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখবেন।
৬. ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এবং একজন হিন্দু ধর্মের অনুসারী ঋষি সুনাকও যুক্তরাজ্য সরকারের প্রধান হিসেবে বাইবেলের অংশবিশেষ পাঠের মধ্যে দিয়ে ইতিহাস তৈরি করবেন।
৭. অভিষেকে সোনার অর্বস এবং রত্ন-খচিত তলোয়ার থেকে শুরু করে বিশ্বের বৃহত্তম বর্ণহীন কাটা হীরাসহ রাজদণ্ড উন্মুক্ত করা হবে অনুষ্ঠানে।
৮. প্রিন্সেস হ্যারি এবং অ্যান্ড্রু দুই রাজপুত্রই রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন।
৯. অভিষেক শেষে, রাজা এবং রানী `অভিষেক শোভাযাত্রা` হিসেবে গোল্ড স্টেট কোচে উঠে বাকিংহাম প্যালেসে ফিরে আসবেন। তাদের সাথে রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এবং প্রায় হাজার ব্রিটিশ এবং কমনওয়েলথ সেনা সম্পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেবে।
১০. বাকিংহাম প্যালেসে ফিরে আসার পর, এই দম্পতি এবং অন্যান্য ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে সামরিক যুদ্ধ বিমানের ফ্লাই-পাস্টসহ একটি ঐতিহ্যবাহী ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকবেন।
সূত্র: এনডিটিভ