চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে দেশে ঈদের প্রস্তুতি, উদযাপন যেভাবে

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ৩:২৪ : অপরাহ্ণ

দুনিয়াজুড়ে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। এর একটি হলো ঈদুল ফিতর। পবিত্র রমজান মাস শেষে দেশে দেশে শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতি। রোজার মাসের সংযম পালন শেষে সবাই মেতে উঠবেন ঈদের খুশিতে।

শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখা দিলে বিশ্বে শুরু হবে ঈদের উৎসব। চান্দ্রমাস ২৯ কিংবা ৩০ দিনে হয়। তাই মুসলিমদের ঈদের আগের সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। খালি চোখে চাঁদ দেখার পরই তারা জানতে পারেন পরের দিন ঈদ উদ্‌যাপিত হবে।

গত ২৩ মার্চ থেকে যেসব দেশে রোজা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার চেষ্টা করবেন তারা। দেখা গেলে, আগামীকাল শুক্রবার এসব দেশে ঈদ উদযাপিত হবে। আর চাঁদ দেখা না গেলে আরেক দিন বেশি রোজা রাখবেন মুসল্লিরা। সে ক্ষেত্রে ৩০ রোজা পূর্ণ হবে সেসব দেশে। ৩০ রোজা হলে সে ক্ষেত্রে ঈদ হবে আগামী শনিবার।

 

যুক্তরাজ্যের এইচ এম নটিক্যাল অ্যালমানাক দপ্তর জানিয়েছে, আজ গ্রিনিচ মান সময় ৪টা ১৩ মিনিট থেকে নতুন চাঁদ দৃশ্যমান হতে পারে। তবে তা কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে শুধু উত্তর আমেরিকার আকাশ থেকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তাই বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের উচিত হবে, আগামীকাল সন্ধ্যার পর শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য খালি চোখে পশ্চিম আকাশে নজর রাখা। তবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ দক্ষিণ গোলার্ধের কিছু দেশের মানুষ আগামীকাল সন্ধ্যায় চাঁদের দেখা না-ও পেতে পারেন। এসব দেশে এর পরদিন অর্থাৎ আগামী রোববার ঈদ উদযাপিত হতে পারে।

ঈদ উপলক্ষে মুসলিম দেশগুলোতে তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকে। তবে দেশভেদে ছুটির দিনের সংখ্যায় তারতম্য দেখা যায়। ঈদের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে। সাধারণত ঈদের দিন সকালে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

দেশে দেশে ঈদগাহে খোলা আকাশের নিচে হাজারো মানুষ সমবেত হন। বেশির ভাগ মানুষের পরনে থাকে ঈদের নতুন জামা। মনে উৎসবের আমেজ। ঈদগাহে সমবেত হয়ে একসঙ্গে তারা নামাজ আদায় করেন। দেশ, জাতি ও সম্প্রদায়ের জন্য দোয়া করেন। ‘আল্লাহু আকবর’ বলে খোদার প্রশংসা করেন। নামাজের পর কোলাকুলি করেন।

এদিকে অনেক দেশে ঈদের নামাজের আগে মিষ্টি খাওয়ার রেওয়াজ আছে। অনেকে ‘মামউল’ খান। এটা বিস্কুটে খেজুরের পুর ভরা একধরনের মিষ্টান্ন। এরপর ঈদের উৎসব শুরু হয়ে যায়। লোকজন ঘুরে ঘুরে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, প্রতিবেশীদের সঙ্গে দেখা করেন। গল্পগুজব করেন। খাওয়াদাওয়া করেন। ঘুরতে যান।

 

তুরস্ক ও আশপাশের দেশগুলোয় বানানো হয় বাকলাভা নামের একধরনের বিশেষ মিষ্টান্ন। পাতলা পেস্ট্রির সঙ্গে পেস্তা বাদাম, কমলার রস মিশিয়ে তা বানানো হয়।

নাইজেরিয়ায় বানানো হয় আমালা। এটা একধরনের স্যুপ। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় তুফাহিজা নামের একধরনের মিষ্টান্ন ঈদের অংশ হয়ে গেছে। আখরোট বা আপেল সিরাপ দিয়ে এটা বানানো হয়।

ঈদের দিন বাস্তিলা নামের একটি খাবার খান মরক্কোর মুসলিমরা। কবুতর কিংবা মুরগির মাংস দিয়ে বানানো হয় খাবারটি।

 

 

সূত্র – চ্যানেল২৪

Print Friendly and PDF