চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রমজানের চাঁদ দেখা জরুরি, কারণ…

প্রকাশ: ২৩ মার্চ, ২০২৩ ১১:১৩ : পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর দরজায় কড়া নাড়ছে ইবাদতের মৌসুম মহিমান্বিত রমজান মাস। যে বরকতময় মাসে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা নেক আমলের সওয়াব সীমাহীনভাবে বাড়িয়ে দেন এবং অফুরন্ত কল্যাণ দান করেন। নেক আমলে উৎসাহী ব্যক্তিদের জন্য কল্যাণের সব দরজা উন্মুক্ত করে দেন।

রমজান পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস। কল্যাণ ও বরকতের মাস। পুরস্কার ও দানের মাস। মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন- شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ ۚ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

অর্থ: ‘রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোজা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তাআলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। (সূরা: বাকারা: আয়াত: ১৮৫)

আরো পড়ুন >>> রমজানের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন

রমজান রহমত, মাগফেরাত এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। যার প্রথমে রহমত, মাঝে মাগফেরাত এবং শেষে রয়েছে জাহান্নাম হতে মুক্তি।

আরবি হিজরি সনের ১২টি মাসের মধ্যে সর্বোত্তম মাস হচ্ছে রমজান মাস। বিশ্বজুড়ে পবিত্র এ মাসকে বরণ করতে প্রস্তুত ১.৯ বিলিয়নেরও বেশি মুসলমান।

রমজান শুরু হওয়ার আগে সাধারণ মুসলমান, ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গ রাতের আকাশে অর্ধেক চাঁদ অনুসন্ধান করেন। যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের মাঝে চাঁদ দেখার ঐতিহ্য চলে আসছে।

দুবাই আল মানার ইসলামিক সেন্টারের ইমাম ও খতিব শায়খ আয়াজ হাউস বলেছেন, শাবান মাসের ২৯ তারিখে নতুন চাঁদ অনুসন্ধান করা এবং নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণ করা আবশ্যক।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল সিটির একটি মসজিদের ইমাম ড. আব্দুল হামিদ জাফর বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বাইরে গিয়ে চাঁদ দেখতে শিখিয়েছেন, যা সওয়াবের কাজ।

শায়খ আয়াজ হাউস হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসকে উদ্ধৃত করেছেন- যেখানে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মাস ২৯ দিনের হয়ে থাকে, সুতরাং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রাখবে না। আর যদি আকাশ মেঘলা হয় তাহলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করো।’

শায়খ আয়াজ হাউস আরো বলেন, ‘নতুন চাঁদ দেখা গেলে বা শাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ হলে হাদিসে রমজান মাসের রোজা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখা গেলে রমজান মাসের রোজা শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শায়খ আয়াজ বলেন, রমজানের নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ার আগে বা শাবান মাস শেষ হওয়ার আগে আকাশ মেঘলা থাকলে রোজা রাখা নিষিদ্ধ।

সূত্র : খালিজ টাইমস

Print Friendly and PDF