প্রকাশ: ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২:৪৭ : অপরাহ্ণ
মার্চের প্রথম সপ্তাহে উদ্বোধনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল। ভৌত অবকাঠামো ও পূর্ত কাজ শেষ হওয়ায় এখন টানেলের বিভিন্ন ধরনের পরিসেবা ও নিরাপত্তা সুবিধা স্থাপন করা হচ্ছে। টানেল পরিচালনার জন্য ২০ জনের একটি টিমকে প্রশিক্ষণের জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হবে। প্রকল্প পরিচালক জানান, টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে টোল প্লাজা স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে।
চট্রগামে খরস্রোতা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হয়েছে দেশের প্রথম সুড়ঙ্গ সড়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। মাটির ১৮ থেকে ৩৬ মিটার গভীরে নির্মিত এই টানেলের দুটি সুড়ঙ্গ পথই প্রস্তুত। এখন চলছে পরিসেবা স্থাপনের কাজ।
পুরো প্রকল্প জুড়েই এখন শেষ মুহুর্তের কর্মব্যস্ততা। সুড়ঙ্গ পথের আলোকবাতি স্থাপন, নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন এবং বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করার কাজ চলছে। টানেলের ভেতরে ফায়ার ফাইটিং, কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা, পাম্প স্থাপন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। টানেলের মধ্য দিয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের গাড়ি চলাচল করলেও পুরো কাজ শেষ হওয়ার পর কয়েকদিন পরীক্ষামূলকভাবে যানবাহন চালিয়ে বিচ্যুতি ঠিক করা হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ।
মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক তিন দুই কিলোমিটার। এর মধ্যে সুড়ঙ্গ পথের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক চার পাঁচ কিলোমিটার। যানবাহন চলাচলের জন্য প্রতি সুড়ঙ্গে ৪টি লেন থাকছে।
এরই মধ্যে টানেলের টোল হার চূড়ান্ত করেছে সেতু বিভাগ। সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা টোল দিতে হবে টানেল পার হতে। টানেল উদ্বোধন হলে চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারের সাথে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ হবে। বাঁচবে সময়ও।