চট্টগ্রাম, রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:৫০ : পূর্বাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, সেনা ও বিমানবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা হবে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কুমিল্লার টাউনহল মাঠে ‘মায়ের কান্না’ নামক একটি সংগঠনের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, খুনি জিয়াউর রহমানের কবর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণে থাকতে পারে না। বাংলার মানুষ সেখানে সেই তথাকথিত কবর মানে না। সেখানে কিন্তু জিয়াউর রহমানের লাশ নাই, চ্যালেঞ্জ করি। আমি জাতীয় সংসদে বলেছি কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে- তাহলে আমরা কোনও কথাই বলবো না। তাদের কথা মেনে নেবো। কিসের না কিসের লাশ, নাকি অন্য কিছু রেখে জিয়ার কবর বলে চালাচ্ছে। আর যারা ওই জিয়ার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমরাতো আর মানুষ ফেরত দিতে পারবো না- তারা যেন খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ও মায়ের কান্না সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কুমিল্লা সদর আসনের এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে নাহিদ এজাহার খান এমপি, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ বীরবিক্রম, কর্পোরাল লরেন্স ডি রোজারি।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে কান্না জড়িত কণ্ঠে বক্তব্য রাখেন শহীদ কর্পোরাল মোবারক আলীর মেয়ে মমতাজ বেগম, সার্জেন্ট সাইদুর রহমান মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান মিয়া লেলিন, সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নূরে আলম, সার্জেন্ট আফাজউদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মাসুদুল আলম, সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম, সার্জেন্ট মোফরাকুল আলমের মেয়ে রিমনা বেগমসহ অনেকে। শহীদ কর্পোরাল মোবারক আলীর মেয়ে মমতাজ বেগম, দেশে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে, একটি স্বাধীন দেশে বাবাকে তো ‘হত্যা’ করা হয়েছে, আমরা কেন এর বিচার পাবো না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি নাহিদ এজাহার খাঁন বলেন, এখনো সেই কাপড়গুলো রয়ে গেছে। যা দেখলেই বুঝা যাবে, আমার বাবাকে কি নির্মমভাবে ওরা হত্যা করেছে। শুধু গুলি করেই ক্ষান্ত হয়নি, বেয়নেট দিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ওইসময়ে জিয়াউর রহমানের কাছে আমার মা জাতীয় পতাকা চেয়েছিলেন, কিন্তু জিয়াউর রহমান তা দেননি। আমার বাবার তো লাশ পেয়েছি, আজ এ অনুষ্ঠানে যারা এসেছেন তাদেরকেই অনেকেই লাশ পাননি। তারা জানেও না তাদের বাবাকে কোথায় দাফন করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ পবিত্র স্থান। সেখান থেকে জিয়াউর রহমানের লাশ অপসারণ করতে হবে।

Print Friendly and PDF