চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিপুণের মন্তব্যের দাঁতভাঙা জবাব দিলেন জায়েদ খান

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ১:২১ : অপরাহ্ণ

নিপুণের মন্তব্যের দাঁতভাঙা জবাব দিলেন জায়েদ খান

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করবেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে সোমবার (২১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেয়।

রায় ঘোষণার পরে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জায়েদ খান বলেন, এই রায় চূড়ান্ত রায় না। চূড়ান্ত রায়ে আমিই জিতব।

গত ২৮ জানুয়ায়িার এফডিসিতে সংগঠনের ভোটগ্রহণের ফলাফলের পরে সাধারণ সম্পাদক পদের ফল নিয়ে অভিযোগ তুলেন অভিনেত্রী নিপুণ। পরে বিষয়টি আইনি জটিলতায় গিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায়।

সাধারণ সম্পাদকের পদটি আদালতে গড়ানোর পরে এফডিসিতে জায়েদ খানকে আর আগের মতো দেখা যায় না। এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে অভিনেতার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছিলেন, পদটির রায় আদালতে ঝুলে থাকার পরও দায়িত্ব পালন করছেন নিপুণ। এ কারণে লজ্জায় এফডিসিতে যান না জায়েদ।

অভিনেতার এই মন্তব্যের বিষয়ে চলতি নভেম্বরে জানতে চাওয়া হয় নিপুণের কাছে। তিনি ভিন্ন কথা বলেন। অভিনেত্রী বলেন, “এফডিসিতে আসতে যদি খুব লজ্জা লাগে তাহলে বোরকা পরে আসুক। আমাদের জানাক, কাভার করে এসে জাস্ট চলে যাব।” এর সঙ্গে তিনি আরও বলেন, এফডিসিতে নায়করাজ রাজ্জাক, নায়ক মান্না, সালমান শাহ-সহ অনেক শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়। সেখানে তো তিনি আসতে পারেন। একজন শিল্পী হিসেবে তিনি আসতেই পারেন এফডিসিতে।

এদিকে সম্প্রতি আদালতের রায় ঘোষণার পরে ‘চ্যানেল 24’-এর সঙ্গে আলাপকালে  নিপুণের বোরকা পরে এফডিসিতে আসার মন্তব্যের বিষয়ে কথা বলেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, “আমি সমিতিতে যাব, বিভিন্ন মিলাদ মাহফিলে যাব, সেখানে ওই চেয়ারে (সাধারণ সম্পাদক) বসে থাকতে দেখব তাকে (নিপুণ); এটা কী ভালো লাগবে আমার কাছে। সে ভোটে নির্বাচিত না, তারপরও কি আমার মন সমর্থন করবে তার চেয়ারে বসে থাকা?”

জায়েদ খান আরও বলুন, “তিনি (নিপুণ) চেয়ার না বসে অন্য কেউ ওই পদের দায়িত্ব পালন করুক। আমি যাবতীয় কাজ করে যাব। আমি তো কখনো আমার সত্যতার কাছে হেরে যাব না। আমি ভোটে নির্বাচিত। সেখানে গিয়ে তাকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখব, নেমপ্লেট দেখব—এসব দেখলেই তো কষ্ট লাগবে। আমি নির্বাচিত হওয়ার পরেও কিভাবে আমার চেয়ারে অন্য একজন বসে? যদি আমি ভোটে হেরে না যেতাম তাহলে প্রশ্ন তোলা ঠিক ছিল।”

Print Friendly and PDF