প্রকাশ: ৫ আগস্ট, ২০২২ ২:৫৩ : অপরাহ্ণ
মদিনার মসজিদে নববীর পবিত্রতা লঙ্ঘনের দায়ে ছয় পাকিস্তানিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ সৌদি আরব সফরের সময় ওই পাকিস্তানিদের কর্মকাণ্ডে পবিত্র মসজিদটির পবিত্রতা বিঘ্নিত হয়।
কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জিও নিউজ জানায়, মদিনার একটি আদালত আনাস, ইরশাদ, মুহাম্মদ সেলিম নামে তিন পাকিস্তানি নাগরিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া খাজা লুকমান, মুহাম্মাদ আফজাল এবং গোলাম মুহাম্মদ নামে অন্য তিনজনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
কারাদণ্ড ছাড়াও, দোষীদের প্রত্যেককে ২০ হাজার সৌদি রিয়াল করে জরিমানা করা হয়েছে এবং তাদের প্রত্যেকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব যান মুসলিম লীগ নেতা শাহবাজ শরীফ। তিনদিনের সফরে সৌদি গিয়ে নামাজ পড়তে যান মসজিদে নববীতে। কিন্তু সেখানে অনভিপ্রেত ঘটনার সাক্ষী হতে হয় তাকে। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের দেখেই তুলকালাম শুরু করেন একদল পাকিস্তানি হজ পালনকারী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মহানবী (স)-এর মসজিদে শাহবাজ ও তার সঙ্গীদের দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান শুরু করেন একদল পাকিস্তানি। আরেক ভিডিওতে মসজিদের ভেতর পাকিস্তানের নতুন তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এবং জাতীয় পরিষদের সদস্য শাহজান বুগতির উদ্দেশে কিছু লোককে গালিগালাজ করতে দেখা যায়। অন্য একটি ভিডিওতে এক হজপালনকারীকে বুগতির চুল পেছন থেকে টেনে ধরতে দেখা গেছে।
পরে এক ভিডিওবার্তায় মরিয়ম আওরঙ্গজেব অভিযোগ করেছেন, এ ঘটনা একটি ‘নির্দিষ্ট গোষ্ঠী’র কাজ। তিনি বলেন, আমি এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তির নাম বলছি না। কারণ আমি এই পবিত্র ভূমিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাই না।
ইসলামাবাদে সৌদি দূতাবাসের তথ্য বিষয়ক পরিচালকের বরাতে জিও নিউজ তখন জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় মসজিদে নববীর পবিত্রতা লঙ্ঘনের অভিযোগে কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতিষ্ঠিত মসজিদ। গুরুত্বের দিক থেকে মসজিদুল হারামের পরেই মসজিদে নববীর স্থান। মহানবী (সা.) হিজরত করে মদিনায় যাওয়ার পর এই মসজিদ নির্মিত হয়। মহানবীর (সা.) বাসগৃহের পাশেই মসজিদে নববী নির্মিত হয়েছিল।