প্রকাশ: ২ আগস্ট, ২০২২ ১১:৩৭ : পূর্বাহ্ণ
ভালোবাসা বয়সের কোনো ধার ধারে না। সেই কথার প্রমাণ দিলেন পাকিস্তানের ইসলামাবাদের এক নারী। ভালোবাসা হলো মনে মিল তা অকোপটেই বলে ফেললেন এই নারী।
ওই নারীর নাম নাজিয়া। তার বাসায় প্রতিমাসে ১৮ হাজার পাকিস্তানি রুপিতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন সুফিয়ান।
পাক সংবাদ মাধ্যম জিও টিভিতে বলা হয়েছে, সুফিয়ানের ব্যবহার, সরলতা এবং উত্তম আচরণ তাকে মুগ্ধ করে। ফলে নাজিয়া তার প্রেমে পড়ে যায়।
এদিকে ইউটিবার সাঈদ বাসিদ আলীর কাছে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে গত মার্চে একই কথা জানান ওই নারী। মূলত ইউটিউবে প্রচারিত ওই সাক্ষারকারটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
তাদের এই মধুর সম্পর্ককে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন নেটিজেনরা। অনেকে তাদের অভিনন্দনও জানিয়েছে।
ওই সাক্ষাতকারে নাজিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাড়িতে একা একা বসবাস করছিলেন। ফলে একাকিত্ব দূর করার জন্য তার প্রতিবেশীরা একজন গৃহকর্মী রাখার পরামর্শ দেন। এরপরই তিনি সুফিয়ানকে তার বাসার কাজ করার জন্য রেখে দেন।
তিনি বলেন, তার সরলতা আমার হৃদয় কেড়ে নিয়েছে। সুফিয়ানকে কখনও কুনজরে নারীদের দিকে তাকাতে দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, অনেক ধনী লোক আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সুফিয়ানের সরলতা আমাকে এতটাই মুগ্ধ করে যে আমি তার প্রেমে পড়ে যাই। ভালোবাসা কখনও সামাজিক মর্যাদা, গায়ের রং, সম্পদ এবং অর্থের উপর নির্ভর করে না।
নাজিয়ার পক্ষ থেকেই পুরুষ গৃহকর্মীকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর সে নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। তার শক খাওয়া মতো অবস্থা হয়েছিল। পরবর্তীতে সুফিয়ানও জানায় সেও তাকে ভালোবেসে ছিল।