চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কলকাতার বাজারে মিলছে না পদ্মার ইলিশ

প্রকাশ: ১ আগস্ট, ২০২২ ১০:৪২ : পূর্বাহ্ণ

কলকাতার বাজারে ইলিশ উঠলেও এখনো মিলছে না পদ্মার ইলিশ। কলকাতার যে কটি বড় মাছের বাজার রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম গড়িয়াহাট বাজার। এখানে এমনিতেই মানুষের ভিড় থাকে। তবে, ইলিশের মৌসুমে সেই ভিড় বেড়ে যায় কয়েক গুণ। পদ্মার ইলিশ বাজারে ঢুকলেই বিক্রেতাদের কাছে চাহিদার শীর্ষে উঠে আসে।

এ বছর এখনো কলকাতায় মিলছে না পদ্মার ইলিশ। নিজেদের মতো করে সেই ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন বিক্রেতারা। আর ক্রেতারা বলছেন, স্থানীয় মাছ নিয়েই তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে চান তারা।

ইলিশ নিয়েই এখন সরগরম কলকাতার বাজার। আসল হোক বা নকল, সবই বিকোচ্ছে পদ্মার নামে। দামও চড়া। তারপরও হাতের নাগালে মাছ পেয়ে খুশি কলকাতাবাসী। কারণ, শরতের উৎসব মৌসুমে করোনাকালেও মিলছে ইলিশ।

স্থানীয় একজন ক্রেতা বলেন, বাংলাদেশের মাছ ঠিকমতো আসছে না। প্রতিবছর খাই গড়িয়াহাট, মানিকতলা থেকে, কিন্তু এ বছর আসেনি। আরেকজন বলেন, দামটা বেশি বলে বিশেষ দিন ছাড়া খাওয়া হয় না। দামটা কম হলে সব মধ্যবিত্ত খেতে পারত।

গড়িয়াহাট বাজারের একজন বিক্রেতা বলেন, এখন যে জল সেটা দূষিত হয়ে গেছে। যার কারণে মাছ আসছে না এবং মাছ প্রচুর পরিমাণে উঠলে সাধারণ মানুষ খেতে পারবে বা আমরাও খেতে পারব। আমরা বিক্রি করি, কিন্তু খেতে পারি না। আরেকজন বলেন, মাছের অনেক টান আছে। মাছ খুব কম। হঠাৎ এমন হয়ে যাবে যে আর রাখা যাবে না। এটাই সমস্যা।

আরেক ক্রেতা বলেন, বাঙালির একটি প্রধান মেনু ইলিশ। আমাদের জন্য খাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য। বাজারে এসে দেখছি। প্রচুর দাম।

স্থানীয় বাজারে চাহিদা বজায় রাখতে ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে। তবে এরপরও বিভিন্ন উৎসবের মোড়কে পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য ইলিশ উপহার পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। গত বছরও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জামাই ষষ্ঠীর উপহার হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের পাতে পদ্মার ইলিশের ব্যবস্থা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কলকাতার বাজারে স্থানীয় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক কেজির কম ১২০০-১৫০০ রুপি আর এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ কিনতে হচ্ছে ১৮০০-২২০০ রুপিতে।

Print Friendly and PDF