প্রকাশ: ১৯ জুন, ২০২২ ১:২৪ : অপরাহ্ণ
বানের পানিতে তলিয়ে গেছে বসতঘর। তাই মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের খোঁজে সিলেট ও সুনামগঞ্জের লাখো মানুষ। সাথে খাবার ও সুপেয় পানির সংকটে এখন জীবন চলাই যেন দায়।
সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ ও সিলেটের ৬০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৪০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে কেউ ছুটছেন আশ্রয় কেন্দ্রে, কেউবা আবার আত্মীয় স্বজনের বাসায়। নৌকাতেও সংসার পেতেছেন, কেউ কেউ।
দুই জেলায় বন্ধ রয়েছে সড়ক ও রেল যোগাযোগ। তিনদিন ধরে সুনামগঞ্জ ও দুদিন ধরে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সিলেট।
অনেক এলাকায় পানির তোড়ে ভেসে গেছে ঘরের ধান-চাল, আসবাব, গবাদিপশু। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যসংকট। বানের পানিতে কোনোমতে ভেসে থাকা মানুষ উদ্ধারের আর্তি জানাচ্ছে। আবার অনেক এলাকার কোনো তথ্যও মেলেনি তিন দিনে।
উজানের রেকর্ড ঢল ও টানা বর্ষণে তিন দিন আগে থেকে শুরু হওয়া বন্যা সিলেট ও সুনামগঞ্জে আরও ভয়াবহ রূপ নেয় গতকাল শনিবার। এ অঞ্চলের ষাট-সত্তরোর্ধ্ব লোকজন বলছেন, তাদের জীবদ্দশায় এমন ভয়াল বন্যা দেখেননি। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র ইতিমধ্যে জানিয়েছে, সিলেট-সুনামগঞ্জের চলমান বন্যা ভয়াবহতার দিক থেকে দেশের অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে।