চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘খুনিদের অভয়ারণ্যে মুক্তির দূত হয়ে আসেন শেখ হাসিনা’

প্রকাশ: ১৯ মে, ২০২২ ১২:২৯ : অপরাহ্ণ

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ১৯৮১ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ খুনিদের এক অভয়ারণ্য সৃষ্টি হয়েছিল ঠিক সে সময় মানুষের জন্য মুক্তির দূত হয়ে দেশের মাটিতে পদার্পণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৮ মে) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এই আলোচনা সভা এবং শিক্ষা উপকরণ ও ক্রীড়াসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কী অপরাধে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সে সময় নেত্রী শেখ হাসিনা চিৎকার করে কাঁদতেও পারেননি। কারণ সে সময় একদিকে খুনি মোস্তাক ও জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ খুনিদের এক অভয়ারণ্য সৃষ্টি হয়েছিল। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী গোলাম আযম এবং কাদের মোল্লাদের ঘুম, খুনের অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশে। জেনারেল জিয়াউর রহমান সেদিনও নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসতে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু সাহসী নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি দেশে ফিরে যাব। মৃত্যু যদি হয় বাংলাদেশের মাটিতেই আমার মৃত্যু হবে।

তৎকালীন সময়ের ইতিহাস তুলে ধরে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৭১ সালের রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ১৬ ডিসেম্বরে ঠিক বিকেল সাড়ে ৪টায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আবার ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঠিক বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলা এবং বাঙালি জাতির মুক্তির আলোকবর্তিকা নিয়ে দেশের মাটিতে শুভ পদার্পণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সেদিন ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি মা-বাবা-ভাই-বোন সব হারিয়েছি, আপনারাই আমার আপনজন। আমি এসেছি পিতা হত্যার বিচার চাইতে। আমি এসেছি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। এর জন্য যদি আমার মৃত্যু হয় আমি সেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নেব।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ১৯৮১ সালের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের নির্মাতা হওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে। এরই মধ্যে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সেই দায়িত্বভার গ্রহণ এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জীবন নিয়ে সব শঙ্কাকে তুচ্ছ করে নিজ দেশে তিনি ফিরে আসেন। সেদিন যেমন ষড়যন্ত্র হয়েছে আজও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সংগঠনের নেতারা।

 

Print Friendly and PDF