চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরু চুরি করতে গিয়ে মারা গেল ডাকাত!

প্রকাশ: ৩ এপ্রিল, ২০২২ ১১:৫৬ : পূর্বাহ্ণ


গরু চুরি করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ধরাধর গ্রামে শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। মৃত ব্যক্তি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডেঙ্গাবন গ্রামের ছুরত আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৩২)। তিনি সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার খোজারখলা এলাকায় এরশাদ মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থাকতেন।

তিনি একজন চিহ্নিত ডাকাত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইলসাম তালুকদার ।

পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার (২ এপ্রিল) ভোরের দিকে ধরাধরপুর গ্রামের একটি বাড়িতে গোয়ালঘরে হানা দেয় চোরেরা। এ সময় বাচ্চু মিয়া ও তার সঙ্গীরা ঘরের বাইরের তালা ভেঙে ফেললেও ভেতর দিয়ে খিল আটকানো থাকায় ঘরে প্রবেশ করতে পারেননি। এ বাড়িতে ব্যর্থ হয়ে পাশের বাড়িতে চুরি করতে যায় চোরেরা। কিন্তু কুকুর ঘেউ ঘেউ শুরু করলে বাড়ির লোকজন জেগে ওঠেন। এ সময় বাড়ির লোকজন শুনতে পান গোয়ালঘরের পাশে কে যেন জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। ঘরের লোকজনের ফোনে আশপাশের লোকজনও ছুটে আসেন। তারা এসে দেখেন কাদামাটি গায়ে লেগে থাকা এক ব্যক্তি (বাচ্চু) মাটিতে পড়ে রয়েছেন।

এদিকে তাৎক্ষণিকভাবে তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারকে সংবাদ দেন। পরে থানায় সংবাদ দেওয়া হলে পুলিশ আসার আগেই বাচ্চু মারা যান। এ সময় আজ সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইলসাম তালুকদার বলেন, চুরি করতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় সে। তার বোন আমাকে জানান, এর আগে কারাগারে থাকাকালে সে আরও দুবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল। বাচ্চু মিয়া পেশাদার ডাকাত। মোগলা বাজার থানায় তার নামে ডাকাতির মামলা রয়েছে। সেই মামলায় সাড়ে চার বছর সাজা ভোগের পর ১০-১২ দিন আগে সে জেল থেকে বের হয়েছে। সঙ্গী ডাকাতদের না পেয়ে হয়তো সে গরু চোরদের দলের মিশে থাকতে পারে।

Print Friendly and PDF